হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য
 
 সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ৪:৫৩ অপরাহ্ণ
সিরিজ খুইয়েছে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দল। যেখানে সিরিজ জেতার আশায় শুরু করেছিল সেখানে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই এখন প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ দলের। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আজ মাঠে নামবে লিটন কুমার দাসের দল। গেল বছর ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশের প্রতিশোধ নিতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৬ রানে হারে বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ১৬৬ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে পারেনি টাইগাররা। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ১৪ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ওপেনার তানজিদ হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের লড়াইয়ে টিকে ছিল বাংলাদেশ। ১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট নিয়ে ১১৭ রান করেছিল তারা। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য ৩৩ রান দরকার পড়ে টাইগারদের।
কিন্তু শেষ ৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে ম্যাচ ও সিরিজ হারে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে বংলাদেশ ইনিংসে ডট বল হয়েছে ৫০টি। প্রথম ম্যাচে হয়েছিল ৪৮টি। ডট বল নিয়ে চিন্তায় আছে বাংলাদেশও। ডট বল কমানোর উপায় বাংলাদেশ খুঁজছে বলে জানান তানজিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ডট বল কম খেলতে পারতাম তাহলে হয়তো চাপটা কম হতো। কিন্তু আমরা পারিনি। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে কীভাবে আরও ডট বল কম খেলে খেলাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।’
৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলা তানজিদ বলেন, ‘আমরা ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে ক্লিক করতে পারছি না। আমাদের খুঁজে বের করতে হবে আমরা কীভাবে ধারাবাহিক হতে পারি এবং মিডল ওভারে কীভাবে আরও ডট বলের সংখ্যা কমিয়ে আরও স্ট্রাইক রোটেট করে খেলতে পারি। এটার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’ দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে দারুণ শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে উইকেট হারালেও ওপেনার অ্যালিক আথানাজে ও অধিনায়ক শাই হোপের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে ১০৬ রান তুলে ২শ রানের সংগ্রহ পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল ক্যারিবীয়রা। কিন্তু বাংলাদেশ বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে ৪৩ রানে ৮ উইকেট হারালে বড় সংগ্রহের স্বপ্নভঙ্গ হয় সফরকারীদের। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেড়শর মধ্যে আটকে রাখতে অবদান রাখেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন। ফিজ ২১ রানে ৩টি, নাসুম ৩৫ রানে এবং রিশাদ ২০ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
বোলারদের প্রশংসাও করেছেন তানজিদ, ‘আমাদের বোলিং ডিপার্টমেন্ট বিশ্বমানের। যে কোনো উইকেটে বোলাররা প্রতিপক্ষকে বড় স্কোর করতে দিচ্ছে না।’ কিন্তু আমাদের ব্যাটারদের ভালো করার সবার সমান দায়িত্ব আছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা আরও ভালো করতে পারি।’
বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে প্রতিশোধ নিতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ক্যারিবীয়রা। ঐ হোয়াইটওয়াশের প্রতিশোধ এবার নিতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের ওপেনার আথানাজে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে চাই। আমরা কাউকে হালকাভাবে নিচ্ছি না এবং শুক্রবার আমরা সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। আমরা অবশ্যই এ সুযোগ লুফে নেব।’
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২১ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ১১ ম্যাচে। ২ ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।





