যত দিন যাচ্ছে আমরা ততই বিভক্ত হয়ে পড়ছি: মির্জা ফখরুল
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ৫:০৯ অপরাহ্ণ
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “এত বড় অভ্যুত্থানকে আমরা জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারছি না। যতই দিন যাচ্ছে আমরা ততই বিভক্ত হয়ে পড়ছি। কারা এই বিভক্তি তৈরি করছেন, সে বিষয়টি আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। অথচ এই সময়টি হলো ঐক্যের সময়।”
বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক এহ্সান মাহমুদের লেখা ‘বিচার সংস্কার নির্বাচন: অন্তর্বর্তী আমলে বাংলাদেশ’ শিরোনামে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সমস্ত সংকটের মূলে রয়েছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেই কারণেই আমরা পাঁচ আগস্টের পর নির্বাচন চেয়েছিলাম। যদিও অনেকে বলেছে, বিএনপি ক্ষমতা চায় বলে নির্বাচন চাইছে। অথচ এই নির্বাচন যত বিলম্ব হচ্ছে তত বেশি ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি সম্মিলিত হচ্ছে।”
এসময় প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনি জনগণের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা সম্পাদন করে একটি নির্বাচন উপহার দেবেন। নির্বাচনের মাধ্যমে যে পার্লামেন্ট ক্ষমতায় আসবে সে পার্লামেন্ট দেশের সংকটগুলো সমাধান করবে। এর যদি কোন ব্যত্যয় ঘটে, তার দায় কিন্তু আপনাকেই বহন করতে হবে।”
দীর্ঘকাল ধরে বিএনপি ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ দেশের জনগণও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করেছে। একটা সময় প্রচার করা হলো যে, বিএনপি সংস্কারবিরোধী। অথচ সংস্কারের মাধ্যমেই বিএনপির জন্ম হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে যে একদলীয় শাসন কায়েম হয়েছিল, ৭৫ পরবর্তীতে সেই চিত্রের পরিবর্তন নিয়ে আসে বিএনপি।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার প্রক্রিয়ার যেসব বিষয়ে আমরা ঐকমত্য ছিলাম না, সেসব বিষয় আমরা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলাম। সেই নোট অব ডিসেন্টগুলো লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। অথচ অবাক হয়ে দেখতে পেলাম গতকাল কমিশন যে ড্রাফট প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দিয়েছে, তাতে সেসব নেই। এটা জনগণ এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতারণা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরো উপস্থিত ছিলেন, চর্চা ডট কমের সম্পাদক সোহরাব হাসান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, লেখক ও সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নুর প্রমুখ।
রাজনীতি/আবির




