আবুল কালামের পরিবারের জন্য ১০ কোটি টাকা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
রাজধানী ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে নিহত আবুল কালাম আজাদের পরিবারের জন্য ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবার ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র সচিব এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এনামুল হক নবীন মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে ১০ কোটি টাকা এবং নিহতের পরিবারের একজন সদস্যকে মেট্রোরেলে স্থায়ী চাকরি না দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, গত ২৬ অক্টোবর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন পিয়ার নং ৪৩৩ হতে দুটি বিয়ারিং প্যাড পরে যায়। এর মধ্যে একটি বিয়ারিং প্যাড পথচারী আবুল কালামের মাথায় পড়লে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত আবুল কালাম আজাদের তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি ছিলেন। আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী ও দুজন শিশু সন্তান রয়েছে। আবুল কালাম আজাদের অর্থায়নে তার ছোট ভাই পড়াশোনা করেন। মেট্রোরেল ব্যবস্থাপনার চরম গাফিলতি এবং অব্যবস্থাপনার কারণে আবুল কালাম নিহত হয়। এর ফলে আবুল কালাম আজাদের নিহত হওয়ার দায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের। মেট্রোরেল কতৃপক্ষ তাদের স্থাপনাসমূহ এবং সরঞ্জামাদি দেখবাল ঠিকমত করে নাই এবং কোথায় কখন কি ধরনের ত্রুটি আছে তা পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও পর্যবেক্ষণ না করে ত্রুটি যুক্ত অবস্থায় মেট্রোরেল পরিচালনা করে আসছেন। যা জননিরাপত্তার জন্য গুরত্বর হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের অধীনে পরিচালিত মেট্রোরেল দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলা করছেন এবং ত্রুটি যুক্ত রেখে ও জননিরাপত্তা ঝুকির মধ্যে রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন যার ফলে আবুল কালাম আজাদ নিহত হন।
নোটিশে আরও বলা হয়, গত ২৭ অক্টোবর আবুল কালাম আজাদের নিহত হওয়ার জন্য মেট্রোরেল কতৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা সরকারি সহায়তা দেবেন এবং তার পরিবারের একজনকে মেট্রোরেলে চাকরি দেবে, যা খুবই সামান্য, বাস্তবতা বিবর্জিত এবং আস্পষ্ট ও অবমাননাকর।
আবুল কালাম আজাদের নিহত হওয়া জন্য নোটিশ গ্রহিতারা ক্ষতিপূরণ ও তার পরিবারের জীবনযাপন করার জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১০ কোটি টাকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দেবেন এবং তার পরিবারের একজন সদস্যকে মেট্রোরেলে স্থায়ী চাকরি দেবেন। অন্যথায় আপনাদেন বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। যা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক নজির স্থাপন করবে।





