সিলেট-৪ আসন: ধানের শীষ চান ৯ জন, ইসলামী দলগুলোর একক প্রার্থী
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৭:২৯ অপরাহ্ণ
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সিলেট জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সিলেট-৪ আসন। দেশের বৃহত্তম পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জ, জাফলং, বিছনাকান্দি ও শ্রীপুর এই আসনে অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়াও রয়েছে দেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট। তাই সব রাজনৈতিক দলের কাছেই আসনটির গুরুত্ব বেশি। আসনটিতে বিএনপির অন্তত নয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। তবে জামায়াত, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিশ এবং ইসলামী আন্দোলন এরই মধ্যে এই আসনে তাদের একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
অতীতে এই আসনে আওয়ামী লীগ ৭ বার, বিএনপি ৩ বার, স্বতন্ত্র ও জাতীয় পাটির প্রার্র্থী একবার করে বিজয়ী হয়েছে। তবে এবার আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা ভোটের মাঠ থেকে ‘আউট’। ফলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন দখলে ব্যস্ত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী। স্থানীয় ভোটররা বলছেন এবার গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে লড়াই হবে বিএনপি এবং জামায়েতে ইসলামীর প্রার্থীর মধ্যে।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হচ্ছেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলার সাবেক সহসভাপতি ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, জেলার সহ সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত দিলদার হোসেন সেলিমের সহধর্মিণী এডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম, জেলার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হেলাল উদ্দিন আহমদ, সাবেক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান জামান ও বিএনপি নেতা আব্দুল হক।
এ ছাড়া জামায়েতে ইসলামীর জেলার সেক্রেটারি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা আলী হাসান উসামা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা সাইদ আহমদ নিজ নিজ দলের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়াও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়ন চাইবেন রজলার যুগ্ম সমন্বয়কারী ফয়সল আহমদ ও জাতীয় যুবশক্তি কেন্দ্রীয় সংগঠক আলী হুসেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, ‘দলের নির্দেশে আমি মাঠে রয়েছি। দলের দুর্দিনে আমি নেতৃত্ব দিয়েছি। জেল-জুলুম সহ্য করেছি। এই আসনের মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি দল আমাকে অবশ্যই মুল্যায়ন করবে।’
জেলার সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি দুইবার গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। এই আসনের মানুষের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছি। বাকিটা দলের বিষয়।’
জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘৪১ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে আমার। বিগত সরকারের আমলে মাঠে থেকে সরকারের ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি। এরজন্য অসংখ্যবার কারাবরণ করতে হয়েছে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দল আমাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করবে বলে আমি আশাবাদী।’
জামায়াতে ইসলামীর জেলার সেক্রেটারি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দল এই আসনে আমাকে প্রার্থী করেছে। আমি সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি। সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারণ মানুষ পরিবর্তন চায়, তারা এবার দাঁড়িপাল্লাকে জয়যুক্ত করতে চায়।’
রাজনীতি/আবির





