রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলবেন না ইয়ামাল!

মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইয়ামাল যা করেছেন, তা এক কথায় বলতে গেলে অবিশ্বাস্য। শুধু ক্লাব নয়, জাতীয় দলের হয়েও করেছেন রেকর্ড। গেল বছর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পথে দলের হয়ে দারুণ ভূমিকা ছিলো ইয়ামালের। ফাইনালে সেবার ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল স্পেন।

সম্প্রতি মৌসুম শেষে এক সাক্ষাৎকারে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন লামিনে ইয়ামাল। যেখানে পুরো মৌসুমে নিজের ও দলের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেছেন। এছাড়া নিজের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছেন ইয়ামাল।

আরও পড়ুন: আনচেলত্তির অধীনে শুরু হলো ব্রাজিল দলের ক্যাম্প

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এল পার্তিদাসো দে কোপে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামালের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, কখনো রিয়াল মাদ্রিদে খেলার সম্ভাবনা আছে কি না। ইয়ামালের সোজাসাপটা উত্তর, ‘আমার ক্যারিয়ারে কখনো রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অসম্ভব।’

বার্সেলোনার খেলোয়াড় তৈরির আঁতুরঘর বলা হয় লা মাসিয়াকে। যেখান থেকে উঠে এসেছেন ইয়ামাল। খেলোয়াড় ও ক্লাবের মধ্যে যে সাধারণ সম্পর্ক থাকে, ইয়ামালের সঙ্গে বার্সার সম্পর্কটা তার থেকেও বেশি কিছু। যে কারণে ইয়ামালের পক্ষে রিয়ালের কথা বিবেচনা করা সত্যিকার অর্থেই অসম্ভব।

রিয়াল-বার্সার নিজেদের মধ্যে খেলোয়াড় কেনা-বেচা অবশ্য একরকম ‘নিষিদ্ধ’ই বলা যায়। আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি না থাকলেও অনেক বছর ধরে দুই পক্ষই বিষয়টি মেনে আসছে। এছাড়া বার্সায় বেড়ে ওঠার পর রিয়ালে যাওয়ার পরিণতি কী হতে পারে, সেটিও নিশ্চয় ইয়ামালের অজানা নয়।

এর আগে ২০০০ সালে লুইস ফিগো বার্সা ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর হয়ে গিয়েছিল এক তুল কালাম কাণ্ড। রিয়ালের হয়ে ক্যাম্প ন্যুতে খেলতে গিয়েছিলেন ফিগো। তখন তাকে উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে মারা হয়েছিল শূকরের মাথা।

একই সাক্ষাৎকারে আগামী মৌসুমে নিজের লক্ষ্য নিয়েও কথা বলেছেন ইয়ামাল। ‘আমি প্রতিবছর উন্নতি করবো। আগামী বছরে আমি আরও বেশি গোল করবো, আরও বেশি অ্যাসিস্ট করবো। আর শারীরিকভাবে এখনকার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হবো।’

খেলা/আবির