পুলিশ প্রশাসনের সাথে সখ্যতা রেখে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা জুবায়ের!

সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মার্চ ২০২৫, ৮:০৯ অপরাহ্ণমন্ত্রী বা এমপি নয়, শুধুমাত্র ছিলেন কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সারোয়ার হোসেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ কজনের মধ্যে একজন।
আর সে সুযোগে তার আত্মীয় পরিচয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ভূমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নিরীহ মানুষকে নির্যাতন, নিজস্ব বাহিনী তৈরি করে টেন্ডারবাজি, মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ সকল অপকর্মে ব্যস্ত থাকা এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম জুবের আহমদ ওরফ র্যাব জুবের বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
তবে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অনেক আতঙ্কের অবসান হলেও আওয়ামী লীগ নেতা ডেভিল জুবের বর্তমান সময়েও প্রশাসনের চোখ আড়াল করে ঠিকাদারী লেবাস লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আগের মত।
আওয়ামী লীগ নেতা জুবের পূর্বের মতো প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। বিশেষ করে পুলিশের সাথে তার সখ্যতা এখনো কোন অদৃশ্য শক্তির বলে- এমন প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর!
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিল- সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রতিপক্ষকে বিএনপি- জামায়াতকে ঘায়েলের চেষ্টা করলেও এখনও সে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমনকি ছাত্র জনতার আন্দোলনে পুলিশের সাথে তার বাহিনী লোকজন হ্যামলেট বাহিনী হিসেবে কাজ করে বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকমুখে।
সেই জুবের এখনো পুলিশের সাথে দহরম মহরম বহমান থাকায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে কে সেই জুবের? আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মূর্তিমান আতঙ্ক হলেও
এখনো সে আইনের আওতায় আসছে নাকোন অদৃশ্য শক্তির বলে!
সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকার খাদিমপাড়া এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত জুবায়ের আহমদ’র বিরুদ্ধে বাসা দখল, টাকা আত্মসাৎ, মানুষের জমি দখলের চেষ্টাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে সরকার পতনের আগে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অগ্রভাগে থাকা জুবের এর বিরুদ্ধে।
মামা আওয়ামী লীগ নেতা থাকার সুবাদে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে পাঠানো হত অন্ধকার কারাগারে অথবা চালানো তো নির্যাতনের বর্বরতা।
টিলাগড়ের বাবলা চৌধুরী ও বিয়ানীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল কাশেম পল্লব ছিলো তাদের নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীর ফাস্ট ও সেকেন্ড কমান্ড।
সদর উপজেলার খাদিমপাড়া, বাইপাস, শাহপরাণ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার এলাকায় তার নেতৃত্বেই ঘটতো নানা অপরাধ। তাদের সাথে সম্পর্ক নেই এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তা আসলো থানা থেকে বিভিন্ন অজুহাতে বদলি হতে হত অন্যত্র।
জুলাই অভ্যুত্থানেও ছাত্রদের বিপক্ষে কাজ করে তার নির্দিষ্ট ক্যাডার বাহিনী। আর এখন সে রূপ বদলে রাম রাজত্ব চালিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভের আগুন জ্বলছে খাদিমপাড়া এলাকাবাসির মনে।
এ ব্যাপারে সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা মারুফ আহমদ জানান, আওয়ামী লীগ নেতা জুবের এখনো অধরা, প্রশাসন কী করছেন, এটা আমার প্রশ্ন ? তাকে গ্রেফতার না করে জুলাই আন্দোলনের শহিদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হচ্ছে।
নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা কাহের আহমদ জানান, জুবের খাদিমপাড়া এলাকায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন দাপটের সাথে চলেছেন এখনো চলছেন।
এ ব্যাপারে শাহপরাণ (রহ.) থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনির হোসেন বলেন, আমি জুবের আহমদকে চিনি। তিনি ঠিকাদারি করেন। আমাদের সাথে ভাল সম্পর্ক রয়েছে তার।
সিলেটসংবাদ/হা