শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মার্চ ২০২৫, ৯:০০ অপরাহ্ণসিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা ৭১–এর পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ছাত্রলীগ কর্মী মো. বায়েজিদ (২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লার গোবিন্দপুরের মো. আবদুল হান্নানের ছেলে। বায়েজিদ গত জুলাইয়ে ছাত্রলীগের শাবিপ্রবির যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়ার অনুসারী ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আন্দোলনের পরও দীর্ঘদিন বায়েজিদ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ভবন ‘এ’-এর সামনে থেকে তাঁকে ধরে আনেন শিক্ষার্থীরা। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর বেলা পৌনে তিনটার দিকে শাবিপ্রবির সহকারী প্রক্টরদের উপস্থিতিতে বায়জিদকে জালালাবাদ থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জালালবাদ থানার উপপরিদর্শক আহসান হক বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বায়েজিদ নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে। থানায় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ওই শিক্ষার্থীর বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘বায়েজিদ একজন মীরজাফর। গত বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সে আমাদের সঙ্গে কোটা আন্দোলনে ছিল। পরে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে সরকারবিরোধী অ্যাখ্যা দিয়ে পোস্ট ও বিবৃতির মাধ্যমে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায়। আন্দোলনের সময় সমন্বয়কদের যেসব গ্রুপ ছিল, সেখানে বিতর্কিত কথাবার্তা বলত। তাঁর পোস্ট ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিও ওই সময় শেয়ার দিয়েছে। এমনকি সে ৪ আগস্ট পোস্ট দেয়, সারা বাংলায় খবর দে, এক দফার কবর দে। সে ছাত্রলীগের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করত।’
রিয়াজ হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা আজ তাঁকে (বায়েজিদকে) পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছি। তাঁকে আটক করে আমরা কোনো মব করিনি। নাশকতা, হত্যাসহ তাঁর নামে দুইটা মামলা আছে। পুলিশ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
জালালাবাদ থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমাদের টিম হাজির হয়ে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে যথোপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত বা মামলা আছে, তাদের আমরা নিরাপত্তা দিতে পারব না। যাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
সিলেট/আবির