পানিতে ডুবল সিলেট , অনেকের কোরবানি দেওয়া স্থগিত
সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ণ
পানিতে ডুবে থাকা নগরে ঈদের সকাল যেনে এবার এসেছিল সীমাহীন ভোগান্তি নিয়ে। ঈদের আমেজ ভুলে সকাল থেকে সবাইকে ব্যস্ত হতে হয় আসবাবপত্র ও কোরবানির জন্য কেনা পশু রক্ষায়। পানিতে ভাসতে থাকায় অনেকে কোরবানি দেওয়া স্থগিত রেখেছেন। আবার কেউ কেউ বিকেলে পানি নেমে যাওয়ার পর পশু কোরবানি দিয়েছেন।
আজ সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে নগরের শিবগঞ্জ, খাঁরপাড়া, উপশহর, দরগামহল্লাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। নগরের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ পশু কোরবানি দেওয়া একদিন পিছিয়েছেন আবার কেউ কেউ পানি নেমে যাওয়ায় বিকেলের দিকে কোরবানি দেন।
নগরের শাহজালাল উপশহর এলাকায় বিকেল ৫টার দিকে ঘুরে দেখা গেছে উপশহরের বেশিরভাগ ব্লকে পানি নেমে গেছে।
পানি নামায় সেখানকার বাসিন্দাদের অনেকে কোরবানি দিয়েছেন। অনেকে কোরবানি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দিনের প্রথমভাবে নগরের ডুবে থাকা এলাকাগুলোর চিত্র প্রায় একই।
নগরের মিরাবাজার এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, ‘ভোরের আগেই আমাদের এলাকা পানিতে ডুবে যায়। বেলা দেড়টার সময়ও পানি ঘরের ভেতর একফুটের মতো আর উঠোনে দুই ফুটের বেশি ডুবে ছিল। যে কারণে কোরবানির চিন্তা বাদ দিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ও কোরবানির পশুকে রক্ষার চিন্তা করতে হয়েছে।’ তারা আজ স্থগিত রেখে আগামীকাল কোরবানি দেবেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল রবিবারের তুলনায় আজ সোমবার সিলেট জেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদীর পানি বেড়েছে। তবে আজ সকালের তুলনায় সন্ধ্যায় নদীর পানি সব পয়েন্টে কমেছে।
সন্ধ্যা ৬টার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ত
জৈন্তাপুরের সারি পয়েন্টে সারি নদীর পানি সকালে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যার প্রতিবেদন অনুযায়ী তা কমে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বাকি পয়েন্টগুলোর মধ্যে সিলেট পয়েন্টে সুরমা নদী, কানাইঘাটে লোভাছড়ায় লোভা নদী, জাফলং পয়েন্টে ডাউকি নদী, জৈন্তাপুরের সারিঘাট পয়েন্টে সারি নদীর পানি সকালের তুলনায় কমেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট আজ সকাল ৬টা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায়ই বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮৬ মিলিমিটার।
সিলেটসংবাদ/হা