ডিবি অফিস থেকে আদালতে আমির খসরু ও স্বপন

সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ৩:৫৭ অপরাহ্ণমহানগর গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) কার্যালয় থেকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে নেওয়া হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে। পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো এই দুই নেতাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পেতে চায় পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে থেকে নিয়ে রাখা হয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদ থানায়।
শুক্রবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন ডিবির পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমির খসরুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। একইদিন বিকালে গুলশানের আরেকটি বাসা থেকে আটক করা হয় স্বপনকে।
এদিকে বিএনপির কর্মসূচির দিনে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কার ইন্ধন ছিল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাকে ইতোমধ্যে পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আমিরুল ইসলাম নামে একজন পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। কনস্টেবল আমিরুল হত্যায় কার ইন্ধন ছিল, সে বিষয়ে জানতে গতরাতে গ্রেফতার হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরুকে রিমান্ডে নিতে চায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আমির খসরু পালিয়ে ছিলেন দাবি করে ডিবিপ্রধান বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমরা অনেক দিন ধরে খুঁজছিলাম। তিনি একটা বাসায় পালিয়ে ছিলেন, সেখান থেকে আমরা গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করেছি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আমির খসরু ৪ নম্বর আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ মামলার যারা আসামি, তাদের সবাইকে আইনের কাছে সোপর্দ হতে হবে। যারা পালিয়ে ছিল তারা কিন্তু রক্ষা পায়নি। যারা পালিয়ে আছে, এখনো আমি মনে করি তাদের আমরা ধরে আদালতের কাছে সোপর্দ করব।
রাজনীতি/আবির