দোয়ারায় হরতালের অজুহাতে বেড়েছে পেঁয়াজ,আলু,চালের দাম: কমেছে শাক সবজির

সোহেল মিয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৫৬ অপরাহ্ণদেশব্যপী রাজনৈতিক অস্থিরতা আর হরতালের অজুহাতে অশান্ত হয়ে উঠেছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নিত্যপণ্যের বাজার। টানা তিনদিনের হরতালের অজুহাতে এবার আরেকদফা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পণ্যমূল্যবৃদ্ধির জন্য কখনও পণ্য সংকট, হরতালে আবার কখনও পরিবহন সংকটকে দায়ী করছেন তারা। বলছেন রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা। দোয়ারাবাজার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে,
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি বাছাই করা পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১৩০ টাকা পর্যন্ত; যা গত সপ্তাহের থেকে কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা বেশি। আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আলুর দাম উঠেছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেশি। ২৮ চালের দাম বেড়ে এখন ৫৫ টাকা:যা ৫২-৫৩ টাকা ছিলো। ক্রেতারা দাম নিয়ে কষাকষি করতে গেলে খুচরা বিক্রেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন, দেশের অবস্থা সংকটে দাম আরও বাড়তে পারে। কোনও কারণ ছাড়াই বেড়েছে চাল ও পেঁয়াজের দামও। অস্থির করা ডিমের দাম এখনও আগের দামেই। যা অনেক আগেই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে।
একইভাবে বাজারে ব্রয়লার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে যা অনেক আগেই সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে চলে গেছে।
এদিকে স্থানীয় বাজারগুলোতে এলাকায় চাষ হওয়া শীতকালীন শাকসবজি উঠতে শুরু করায় কমেছে সবজির দাম। উপজেলার বাজার গুলোতে গত সপ্তাহে ১৪০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া প্রতিকুড়ি লালশাঁক বর্তমানে ১০০-১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, ৪০-৫০ টাকার শষা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা,৭০-৮০- টাকা দরের প্রতিপিছ লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা,১৮০-২০০ টাকা বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে।
পেঁয়াজ, আলু আর চালের মুল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হরতালের কারণে বাজার খারাপ। বাজারে পণ্য আসতে পারছেনা।কেনা-বেচা হচ্ছে না সেভাবে। যেটুকু হচ্ছে তা খুবই কম। কারণ বাজারে পণ্যের সংকট রয়েছে। হারতালে পরিবহন সংকট। তার উপর ভাড়া বেশি। এসব কারণেই মূলত পণ্যের দাম বেশি বেড়েছে।
অন্যদিক,মাছের বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। মাছের বাজারেও পরেছে হরতালের প্রভাব। আসছেনা বাহিরের মাছ৷ তবে স্থানীয় হাওরগুলোতে এখনো মাছ থাকায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে চলতি মাসের শেষদিকে শেষ হয়ে যাবে স্থানীয় হাওরগুলোর মাছ। সংকট দেখা দিবে মাছের।
তারা জানায়, স্থানীয় ভাবে এবছর মাছের চাষ কমে হয়েছে,হাওরগুলোতে ও অন্য বছরের তুলনায় মাছ কম। যা ছিলো তার বেশির ভাগ মাছ ভারতে পাচার হওয়ায় সামনের দিকে মাছের চরম সংকট দেখা দিবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু জানান,হরতাল আর অবরোধের ইস্যুতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। আমরা বাজার মনিটরিং করে ব্যবস্থা নিবো।
সারাদেশসংবাদ/হান্নান