দোয়ারাবাজারে মরিচের বাম্পার ফলন ও দাম বেশি, চাষিদের মুখে হাসি

সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ)
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুন ২০২৩, ৮:৫৭ অপরাহ্ণসুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে চলতি মৌসুমে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর অন্যান্য ফসলের তুলনায় মরিচের ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যদিকে বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকেরাও অনেক উচ্ছ্বসিত।
বৃহস্পতিবার উপজেলারবোগলাবাজার, লক্ষিপুর,দোহালিয়া,বাংলাবাজার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকের খেত, বাড়ির আঙিনা এখন মরিচে উপচে পড়ছে। চলছে মরিচ সংগ্রহ করার ধুম।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিক্রি ও হচ্ছে ভালো দামে। ক্ষেত থেকে তুলেই প্রতি মণ কাঁচা মরিচ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
ক্ষেতে কাঁচা মরিচ সংগ্রহ করতে ব্যস্থ উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের আনিছ মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৫২) বলেন,গতবছর মরিচের ক্ষেতে অনেক টাকা নষ্ট করেছি। আশানরূপ ফলন হয়নি,যা হয়েছিলো তা ও বন্যায় নিয়ে গেছে। গতবছরের শংষ্কায় এবার অল্প জমিতে মরিচের চারা লাগিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ এবছর জমি অল্প হলেও ফলন ভালো হয়েছে। দাম ও পাচ্ছি ভালো।
উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উরুরগাঁও গ্রামের মরিচ চাষি আলী আকবর (৩০)জানান, গত বছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। দাম ও পাচ্ছি ভালো। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরাও আসছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভালো দাম পেলে লাভবান হতে পারব বলে আশা করছি।
বাঘমারা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ মলম মিয়া (৩১) জানান,সবজি চাষের ৭ বছরে মরিচের এমন ফলন দেখিনি। এবছর মরিচের ভালো ফলন হয়েছে। বিক্রি ও হচ্ছে ভালো দামে। তিনি ৩০ শতক জমিতে মরিচ চাষ করে গত বছর ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করেছিলেন। এবছর একই জমির কাচা মরিচ এপর্যন্ত ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। আরো ৫০ হাজার টাকার অধিক বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মহসিন জানান, বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর মরিচে রোগবালাই নেই বললেই চলে, তাই মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা ভালো দাম ও পাচ্ছে।
এবার আমাদের হিসাব অনুযায়ী উপজেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারদরও ভালো থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
সিলেটসংবাদ/হান্নান