রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রবৃদ্ধিকে কতটা ক্ষতি করে তার উদাহরণ পাকিস্তান

ইয়াহিয়া নয়ন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ৪:১৩ অপরাহ্ণরিজার্ভ কমে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের অর্থনীতি। পাকিস্তানের গৌরবখ্যাত তুলা বুনন শিল্পের অবস্থাও শোচনীয়। এ শিল্পে নিয়োজিত অসংখ্য কর্মী হারিয়েছেন চাকরি। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন পাকিস্তানজুড়ে চলছে হাহাকার।
বিশ্বের অন্যতম বড় টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনকারী দেশ পাকিস্তান ২০২১ সালে ১৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। যা মোট রপ্তানির অর্ধেকেরও বেশি ছিল। কিন্তু ছোট টেক্সটাইল ও টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনকারী অসংখ্য কারখানা, যেগুলো বিছানার চাদর, তোয়ালে এবং ডেনিম ইউরোপের বাজারে রপ্তানি করতো সেগুলো তুলার অপ্রতুলতার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া টেক্সটাইল শিল্পে কর বৃদ্ধির বিষয়টিও মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে এসেছে। রিজার্ভ সংকটের কারণে এখন টেক্সটাইল পণ্যের কাঁচামাল, চিকিৎসা সামগ্রী এবং খাদ্যপণ্য আটকে আছে করাচি পোর্টে ।
পাকিস্তান টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্যে অনুযায়ী, এ শিল্পে নিয়োজিত ৭০ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। গত বছর পুরো পাকিস্তানজুড়ে বিধ্বংসী যে বন্যা হয়েছিল সেটির কারণে বেশিরভাগ তুলা শস্য নষ্ট হয়ে গেছে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সপ্তাহে জানায়, বিদেশি রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে। ২০১৪ সালের পর যা সর্বনিম্ন। যার প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে সৌদি আরব। তবে এ অর্থ ব্যবহার করা যাবে না। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে মাত্র তিন সপ্তাহের পণ্য আমদানি করতে পারবে ইসলামাবাদ।
এছাড়া সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও কমেছে বহুলাংশে। গত শনিবার সিন্ধ প্রদেশের মিরপুর খাস নামক একটি স্থানে কমমূল্যের আটা কিনতে গিয়ে মানুষের নিচে চাপা পড়ে হারিসং কোলহি নামে এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য ৬০ রুপি দরে ৫ কেজি আটা কিনতে গিয়েছিলেন। সাধারণ বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি আটা ১৩০ থেকে ১৪০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। সিন্ধ প্রদেশের এই ঘটনা পাকিস্তানের আসন্ন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের একটি মাত্র উদাহরণ। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাওয়ার বিরূপ প্রভাব ইতোমধ্যেই দেশটির নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর পড়েছে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের পাকিস্তান ইনিশিয়েটিভের পরিচালক উজাইর ইউনুস বলেছেন, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এখন দ্বিগুণ। এমনকি ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার আগেও খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বিশেষ করে গ্রামীণ জনগণ মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন।
ইউনুস জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ইমরান খান ক্ষমতায় আসার আগে পূর্ববর্তী সরকার অনেক ঋণ করেছিল। এরপর এটি সামাল দিতে ২০১৯ সালে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ধর্ণা দেন ইমরান। কিন্তু ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে এটি পিছিয়ে যায়। এরপর শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এবং বিভিন্ন ঝামেলার কারণে পাকিস্তান এ ঋণ এখনো পায়নি।
এখন ডলার ঘাটতির প্রভাব এতটাই তীব্র হয়েছে যে অতিপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীও আমদানি করতে বেগ পেতে হচ্ছে ইসলামাবাদকে। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ ওষুধও পাবেন না।
কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের ওপর জলবায়ুর প্রভাব নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়। সেখানে দেশটিকে ১০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নত দেশগুলো। এছাড়া পাকিস্তানে নতুন সেনাপ্রধান আসিম মুনির সৌদি আরব ও আরব আমিরাত সফরে গিয়েছেন আরও ঋণ পাওয়ার জন্য।
দিনকয়েক আগে সেদেশের জাতীয় গ্রীডে বিপর্যয়ে ২২ কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পরে। ২০২২ সালের প্রাক্কলন মতে পাকিস্তানের জনসংখ্যা প্রায় ২৪ কোটি ৩০ লাখ। এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট এমন সময় এলো যখন পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতি তীব্র জ্বালানি সঙ্কট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছে।
এ মাসের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ কেন্দ্রীয় সরকারের সব বিভাগকে তাদের জ্বালানি ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও, জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সরকার সব বাজার রাত ৮টা ৩০ মিনিট ও রেস্তোরাঁ রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। পাকিস্তানভিত্তিক ফ্রন্টিয়ার পোস্ট পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) ব্যবসায়ী প্যানেল (বিএমপি) সতর্ক করেছে যে, পাকিস্তানের অর্থনীতি বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান যে রিজার্ভ, সেই পরিমাণ বৈদশিক মুদ্রা দিয়ে দেশটি মাত্র এক মাস আমদানি ব্যয় নির্বাহ করতে পারবে। অন্যদিকে গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশ।
এফপিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও বিএমপি চেয়ারম্যান মিয়া আঞ্জুম নিসার বলেছেন, যে ২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার মধ্যে রিজার্ভ আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশটি দুবাইভিত্তিক দুটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে ৬০০ মিলিয়ন এবং ৪১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণ পরিশোধের পর পাকিস্তানের কাছে ২৫ দিনেরও কম আমদানি কভার থাকবে।
এফপিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমে যাওয়া, রুপি দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে পাকিস্তান অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে পড়েছে।
দ্য ফ্রন্টিয়ার পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের দুটি আনুষ্ঠানিক বাজারে কীভাবে গ্রিনব্যাকের মূল্যায়ন করা হচ্ছে তার পার্থক্য তুলে ধরে আন্তঃব্যাংক এবং খোলা-বাজারে মার্কিন ডলারের হারের মধ্যে ব্যবধান ২৪ রুপির বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি লেনদেনের জন্য গ্রাহকদের মার্কিন ডলারে ৫০-৬০ রুপি নেওয়া হচ্ছে।
মিয়া আঞ্জুম নিসারের মতে, পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এলসি খোলার ক্ষেত্রে খাত বেছে নিতে বাধ্য করছে, এমনকি স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতও। কারণ এটি তার স্বাভাবিক ব্যাংকিং চক্র অনুসারে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে অক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনীতিবিদরা পাকিস্তানে একটি আসন্ন মানবিক ও স্বাস্থ্যসেবা সংকটের পূর্বাভাস দিচ্ছেন, যদি না স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং অন্য সংস্থাগুলো দুর্যোগ এড়াতে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়।
সম্প্রতি দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নাগরিকদের শাসকদের ব্যর্থ নীতির খেসারত বহন করতে বাকি আছে। যার ফলশ্রুতিতে ঐতিহাসিক মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোলিয়ামের দাম বৃদ্ধি এবং রুপির মূল্যহ্রাস হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্য বিষয়গুলোর মধ্যে আছে আসন্ন দেউলিয়া হওয়ার সতর্কতা।
পাকিস্তানে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে শপিংমল এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানের অর্থনীতি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে আটকে আছে, যেখান থেকে উত্তরণের পথ দেখা যাচ্ছে না। পাকিস্তানে আটা, চিনি ও ঘি-এর মতো দৈনন্দিন জিনিসের দাম বেড়েছে। প্রতিদিনই দাম লাফিয়ে বাড়ছে।
পাকিস্তানের সামষ্টিক অর্থনীতির সংকটের প্রভাবে খাদ্যসংকট তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোরে ১৫ কেজি আটার ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ রুপিতে। গত দুই সপ্তাহে ১৫ কেজি আটার বস্তার দাম বেড়েছে ৩০০ রুপি। ইতিহাসে এই প্রথম পাকিস্তানে ২০ কেজি আটার বস্তার দাম হয়েছে ৩ হাজার রুপি। করাচি শহরে ১ কেজি আটার দাম ১৫০ রুপি। গত কয়েক সপ্তাহে সেখানে ২০ কেজি আটার বস্তার দাম বেড়েছে ৪০০ রুপি। হায়দরাবাদে ২০ কেজি আটার বস্তার দাম ২ হাজার ৮৮০ রুপি আর পেশোয়ারে ২ হাজার ৬৫০ রুপি।
জ্বালানি সাশ্রয়ের সিদ্ধান্তের আগে পাকিস্তান তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করে। সরকারের ঘোষণা মতে, ৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক দ্য স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৪ দশমিক ৩৪৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে, যেটি মাত্র ৩ সপ্তাহের আমদানি খরচ মেটানোর জন্য যথেষ্ট। ২টি সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নেওয়া ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধের পর রিজার্ভ এ পর্যায়ে নেমে আসে।
পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি সরকারও তার পূর্ণ মেয়াদ পূর্ণ করেনি, যা দেখায় যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশটিতে একটি প্রভাবশালী ঘটনা। এতে দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও অবহেলা দেখা দেয়। ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট সরাসরি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সরকার কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয় তার সাথে জড়িত। যেমন রাজনীতি পাকিস্তানের প্রধানত ভারতের চারপাশে ঘোরে এবং সরকারগুলি অস্থির, তারা বিশুদ্ধ অর্থনৈতিক যুক্তির উপর ভিত্তি করে নয় বরং ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়। এটি শেষ পর্যন্ত ঋণের বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে দীর্ঘমেয়াদী রাজস্ব নীতি তৈরির সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেশের প্রবৃদ্ধিকে কতটা ক্ষতি করতে পারে তার উদাহরণ পাকিস্তান।
ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, পাকিস্তানের ধর্মীয় মৌলবাদের অন্তর্নিহিত সংস্কৃতি কখনোই এটিকে প্রাচীন ঐতিহ্যের শিকল ভেঙে আধুনিক পুঁজি গঠনে প্রবেশ করতে দেয়নি। ইমরান খান এবং তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ একই মৌলবাদকে আরও বিভাজন তৈরি করতে ব্যবহার করছে, যা সম্ভবত দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু করার কফিনে শেষ পেরেক হতে পারে। ফলস্বরূপ, সেনাবাহিনী প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং সহিংসতা, ক্ষুধা এবং সন্ত্রাসের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
যেহেতু তেহরিক-ই-তালেবানের মতো স্বদেশী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি এখন পাকিস্তানে ক্ষমতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, গৃহযুদ্ধ কেবল একটি বা দুটি ফ্রন্টে নয়, অনেকগুলিই হবে৷ বেলুচিস্তান এবং খাইবার-পাখতুনখাওয়ার লিবারেশন গ্রুপ যারা দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হতে চায় তাদের দ্বারা এটি আরও বাড়িয়ে তুলবে।
এটা অসম্ভব মনে হতে পারে. যাইহোক, এই অঞ্চলে বন্যা, সেনাবাহিনীর অবিরাম সহিংসতা এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির ক্রমাগত বোমাবর্ষণ সহ সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি ভিন্ন গল্প বলে।
এটা বোঝা প্রাসঙ্গিক যে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলি সাম্প্রতিক ঘটনা নয় বরং খারাপ অর্থনৈতিক নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সন্ত্রাস, মৌলবাদ, অন্তর্নিহিত দুর্নীতি এবং সামরিক আধিপত্যের চূড়ান্ত পরিণতি যা একটি বিশাল স্নোবল বোমায় পরিণত হয়েছে। যা ফেটে গেলে শুধু দেশ নয় সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলবে।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।