নিউইয়র্কে অনুপ দাস একাডেমির বিজয় দিবস পালন
 
 শেখ শফিকুর রহমান,নিউইয়র্ক॥
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:৩৫ অপরাহ্ণ নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে অনুপ দাস একাডেমির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালিত।
নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে অনুপ দাস একাডেমির উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস পালিত।
গত ২২শে ডিসেম্বর নিউইয়র্কের ব্রঙ্কস স্ট্রালিং বাংলাবাজারের গোল্ডেন প্যালেস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল বিজয় দিবসের কেক কাটা,বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান,মুক্তিযুদ্ধের প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন,কবিতা আবৃত্তি,নৃত্য ও মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠান।বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শুভ সুচনার পর বিজয় দিবসের কেট কাটা হয়।এ পর্বে মঞ্চে আসেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীরমুক্তিযোদ্ধা রথীন্দ্র নাথ রায়,বাংলাদেশ মুক্তিযাদ্ধা সংসদ নিউইয়র্ক স্টেট কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মনজুর আহমদ,ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম,বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ নাসির।তাদেরকে উত্তরণী পড়িয়ে সম্মানিত করা হয়।পল্লব সরকারের প্রানবন্ত সঞ্চালনায় মঞ্চে অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক কন্স্যুলেটের কাউন্সিলর আয়েশা হক,যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা,বিশিষ্ট টিভি উপস্থাপক সাংবাদিক শামীম আল আমিন,প্রামান্যচিত্র নির্মাতা সাগর লোহানী।উপস্থিত ছিলেন এট্যার্নী মোহাম্মদ এন মজুমদার,নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামীলীগের উপ প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শেখ শফিকুর রহমান,যুবলীগনেতা শেখ জামাল হোসেন প্রমূখ।এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিরূপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে হল ভর্তি বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী পুরুষ,মহিলা ও ছোট শিশুরা যোগদানের মাধ্যমে উৎসব মূখর হয়ে উঠে।
দ্বিতীয় সাংস্কৃতিক পর্বে একে একে দেশাত্ববোধক গানের সাথে বিভিন্ন নৃত্য শিল্পী ও অনুপ দাস ডান্স একাডেমির শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।সাগর লোহানীর সাক্ষাতকার বৃত্তিক মুক্তিযুদ্ধের প্রামন্যচিত্র সকলের হৃদয় ছূয়ে যায়।কবিতা আবৃত্তি করেন শুক্লা রায়,পারভীন সুলতানা,অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন ছিল বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী রথীন্দ্র নাথ রায় ও শিল্পী চন্দন চৌধুরীর মনোজ্ঞ সঙ্গীত পরিবেশন।সবশেষে সবাইকে নৈশ্যভোজে আপ্যায়ন করা হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে নিউইয়র্ক কন্স্যুলেটের কাউন্সিলর আয়েশা হক বলেন অনুপ দাস ডান্স একাডেমি আমাদের আগামী প্রজন্মের শিশুদের বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে পরিচয় করার কাজ করছেন তার জন্য তাদেরকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
রাজনীতিবিদ আব্দুর রহিম বাদশা বলেন ১৬ই ডিসেম্বর ২৬শে মার্চ সহ জাতীয় অনুষ্ঠান পালন কালে সবাইকে বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি নজর রাখতে হবে যেন সংবিধানের কোন অবমূল্যায়ন না হয়।
নির্মাতা সাগর লোহানী বলেন যখন কোন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বা আমেরিকার জাতীয় সংগীত বাজানোর আগে সর্তকতার সাথে গাইতে হবে সুর এবং উচ্চারণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের।শুধু গাইলে হবেনা তা হৃদয়ে ধারন করতে হবে।






