দাম বাড়ল লাফিয়ে, কাঁচা মরিচের কেজি এখন ৩০০ টাকা

সিকডে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০২২, ১২:৩১ অপরাহ্ণরাজধানীর বাজারে এক দিনে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০ টাকা। মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে গত বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় মানভেদে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এক দিনের ব্যবধানে গতকাল শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।
হঠাৎ এই উচ্চমূল্যের কারণে বিক্রেতা ২৫০ গ্রামের বদলে ১০০ গ্রামের দাম হাঁকছেন।
তাঁদের ধারণা, আগে যেসব ক্রেতা ২৫০ গ্রাম বা ৫০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনত, তারা এখন ১০০ গ্রামের বেশি কিনতে চাইবে না।
রাজধানীর জোয়ার সাহারা বাজারে গতকাল প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয় মানভেদে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। দুই দিন আগে এ বাজারে বিক্রি হয়েছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। এ বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আলম কালের কণ্ঠকে জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে এই পণ্যের দাম। এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকায়।
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতারা আরো জানান, দুই সপ্তাহ আগেও তাঁরা কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়। তাঁদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম বেড়েছে। বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা কাঁচা মরিচ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। ঢাকার বাইরে এই কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা কম হলেও তা অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।
মেহেরপুরে কয়েক দিন ধরে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মেহেরপুর তহ বাজারের খেয়া সবজিভাণ্ডারের মালিক আবুল খয়ের গতকাল জানান, গত বুধবার কাঁচা মরিচের পাইকারি মূল্য ছিল প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ১৯২ টাকা। গত বৃহস্পতিবার তা কিছুটা কমে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়। আর গতকাল বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়।
হিলি প্রতিনিধি জানান, আট মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হচ্ছে আজ শনিবার। হিলি শিপিং ট্রেডার্স ও সততা বাণিজ্যালয় নামের দুই প্রতিষ্ঠান দুই হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ হয়। দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে ফের ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার ওই দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মরিচ আমদানির অনুমতি পায়।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, কয়েক দিনের গরম ও টানা বৃষ্টিতে দেশে কাঁচা মরিচের আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে, যার কারণে পণ্যটির দাম বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, দেশের কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় ১০ নভেম্বর থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বন্ধ করে রেখেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে চলমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়/এ