সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ফিরলো শিক্ষার্থীরা

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৫:৪২ অপরাহ্ণকরোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর সরকারের নির্দেশনা মেনে আজ থেকে সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। সকাল হওয়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে শুরু করে। কেউ অভিভাবকের সাথে কেউবা একাকী, কেউবা প্রতিষ্ঠানের যানবাহনের মাধ্যমে। শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসায় প্রাণ ফিরে পেল সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অনিন্দ্য ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার জন্য অধ্যক্ষের দিকনির্দেশনায় প্রতিষ্ঠানকে সুন্দরভাবে সাজানো হয় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে। তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য বসানো হয় বিভিন্ন প্রতীকী চিহ্ন। সকালে শিক্ষার্থীরা যখন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তখন শিক্ষকরা করতালি দিয়ে তাদেরকে স্বাগত জানান। তারপর হাত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার ও তাদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষকরা তাদের প্রতি আন্তরিক মনোভাব প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসের জন্য সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো। ক্লাসরুমগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আসন পরিকল্পনা করা হয়। এক ক্লাস শেষ হওয়ার পর অন্য ক্লাসের শিক্ষক না আসা পর্যন্ত শিক্ষকবৃন্দ ক্লাসে অবস্থান করে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করেন।
সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ সরকারিভাবে গৃহীত ও নিজ ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতকৃত ভিডিয়ো প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনাও প্রদান করেছিলো। ফলে শিক্ষার্থীরা পূর্ব থেকে স্কুলে আসার পর তাদের করণীয় কী সে সম্পর্কে সচেতন ছিলো। লাইন ধরে দূরত্ব বজায় রেখে তারা ক্লাসে প্রবেশ করে এবং বসার নিয়ম অনুযায়ী আসন গ্রহণ করে।
প্রথম দিনে ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। শতকরা হিসেবে যা ৮২%। প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা যে খুশি হয়েছে এ উপস্থিতি তারই প্রমাণ বহণ করে। ক্লাসে শিক্ষকবৃন্দ উৎসাহমূলক কথা বলে তাদের মনোবল বৃদ্ধি করেন।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দুই পিরিয়ড ক্লাস হয়। ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে। শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করার সাথে সাথে কর্তব্যরত কর্মচারীরা জীবাণুনাশক দিয়ে ক্লাসরুম পরিষ্কার করে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রাণে আবেগ সঞ্চারিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ ধারা ধরে রাখতে পারলে দেড় বছরে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব হবে। সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।