এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বিচার শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৩৩:৫৬,অপরাহ্ন ১৭ জানুয়ারি ২০২১
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক:
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগের আটজনের বিচার শুরু হয়েছে।
রোববার সিলেট বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ সময় ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হকের আদালতে আসামিদের সবাই উপস্থিত ছিলেন।
এই আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী (পিপি) রাশিদা সাঈদা খানম জানান, অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
অভিযোগ গঠনের আগে তিনজন আসামি মামলা থেকে অব্যাহতি (ডিসচার্জ) চেয়ে আবেদন করলেও বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। আগামী ২৪ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হবে।
পিপি অ্যাডভোকেট রাশিদা সাঈদা খানম সমকালকে বলেন, রোববার ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে আসামি সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি ও রবিউল ইসলাম অব্যাহতির আবেদন করেন। এছাড়া আসামি অর্জুন লস্কর ও মাহবুবুর রহমান রনি জামিনের আবেদনও করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানি শেষে এসব আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন।
রোববার অভিযোগ গঠনের জন্য বেলা ১১টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ গঠনের সময় বিচারক আসামিদের কাছে অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে তারা সবাই নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করেন। এরপর আদালতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
এই মামলার আসামিরা হলেন-সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। এদের মধ্যে প্রথম ছয়জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ততা এবং বাকি দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এজাহারভুক্ত ছয়জনসহ মোট আটজন গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড শেষে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। ডিএনএ পরীক্ষায়ও তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়।
গত বছরের ২ ডিসেম্বর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ছাত্রলীগের আটজনের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। গত ১২ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল অভিযোগপত্র গ্রহণের পর অভিযোগ গঠনের জন্য রোববার দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
সূত্র : সমকাল . . . . . . . . .