সোহেলের মৃত্যু নিয়ে যা বললেন ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদ
 
 সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুন ২০২০, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণসাজ্জাদ আনছারী লন্ডন থেকে: ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সদস্য এমদাদ হোসেন টিপু সোহেলের
মৃত্যু নিয়ে ফেইসবুক স্ট্যাটাসে যা বললেন
এমন জীবন তুমি করিবে গঠন
মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন ।
………১২ বছরেরও বেশী সময় প্রবাসে আছি । এরই মধ্যে অনেক প্রিয়জন হারিয়েছি তাদের মধ্যে সোহেল একজন ।প্রথম ফোন আসে ফ্রান্সের
মুহিবের কাছ থেকে ।ঘুমিয়ে ছিলাম ফোন রিসিভ করে ওপার থেকে কান্নার আওয়াজ বুকে ধড়ফড শুরু অনেক কস্ট করে সে বলল ভাই সোহেল ভাই নাই । এর পর অনেক ফোন আসল সবাই কান্নাভেজা কন্টে সংবাদটা জানিয়েছেন ।এখানে ই বুজা যায় সোহেল সকলের কাছে কত আপন ছিল ।
সোহেল ওতার সমসাময়িক সবার প্রতি অনাধিকার চর্চা করতাম শাসন করতাম বকা দিতাম কিন্ত আশ্চর্য কেউ মন খারাপ করত না রাগ করত না এমন তাদের সকলের পরিবার ও যেন আমার এই কর্মকান্ডে সায় দিতেন ।সোহেল এমন একটি ছেলে ছিল তাকে কোনদিনই বকা ঝকার সুয়োগ পাইনি । তার আচার আচরন ওশালীনতা ছিল চোখে পড়ার মত । আমার নির্বাচনের সময় ২/৩ দিন পর তার সাথে দেখা একটু রাগ করলাম বললাম কইবা দেখা যায় না তখন তার সাথে কে একজন ছিল সে সোহেলের প্যান্টের পা টেনে দেখালো । পা দুটো ফোলা এবং ফুসকা উটেছে , আমি অনেকটা লজ্জায় পড়ে গেলাম তখন সে তার স্বভাব সুলভ হাসি হেসে বলল এটা তেমন কিছু না মরি আর বাচি নির্বাচন পর্যন্ত আছি ।
গতকাল ফাহিম ভাইও ফোন করে তার কথা বললেন ।সে ছাত্রদলে একনিস্ট একজন কর্মী ছিল সব সময় বন্ধু বান্ধব এবং ভালো ছেলেদের জন্য সুপারিশ করত ।
জনসেবা যেন তার একটা নেশা সরকারী রাস্তা গর্ত হয়ে গেছে নিজে ভাংগা ইট দিয়ে চালাচলের উপযোগী করার চেস্টা করেছে স্কুলের ছেলেমেয়েদের নিরাপদে চলার জন্য নিজ হাতে রাস্তায় মাঠি দিয়েছে । এসব কিন্ত নিরবে করেছে ।
বন্ধু বান্ধব ছোট বড় পাড়া প্রতিবেশী সকলেরই আপনজন সোহেল ।আপনজন ছাড়াকেউ সুখ দু;খের কথা শেয়ার করে না ।সোহেলকে সবাই অকপটে সবকিছু শেয়ার করত সে তার সাধ্যমত সহযোগিতা করত । আমিও তার কাছ থেকে সবকিছু জানতে পারতাম ।এমন নির্ভরযোগ্য বিশ্বাসী সৎ ছেলে পাওয়া দুস্কর ।
খুব কস্ট লাগে তার ছেলের ছবি দেখে সে যখন বাড়ীতে থাকত ছায়ার মত সে আছে । আলেম উলামাগন বলেন নেকগার বান্দারা মৃত্যুর ৪০ দিন আগে বুজতে পারে সোহেলে পোস্ট দেখে মনে হয় সে বুজতে পেরেছে সে চলে যাবে ।সোহেল তুমি আমার জন্য অনেক করেছ , ঈদের নামাজ শেষে হয়ত তোমার বাড়ীতে আড্ডা হবে তুমি থাকবে না তুমি থাকবে আমাদের অন্তরে ।
সোহেল তোমার সার্থক জনম সবাই চোখের জলে তোমাকে বিদায় দিয়েছে সবাই আন্তর থেকে তোমার জন্য দোয়া করছে আল্লাহ যেন তোমাকে জান্নাতবাসী করেন ।      . . . . . . . . .






