যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় এ পর্যন্ত ১৫৭ বাংলাদেশীর মৃত্যু
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ এপ্রিল ২০২০, ২:১০ অপরাহ্ণআমেরিকায় করোনাভাইরাসে বাংলাদেশীদের মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে। এ পর্যন্ত আমেরিকায় প্রায় ৭ লাখ ১০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। অন্যদিকে নিউইয়র্কে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লাখ এবং মৃত্যের সংখ্যা ১৭ হাজার ২০০ জনের মতো। অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় আরও তিন বাংলাদেশী করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তারা হলেন- নাহিদ সুলতানা, শাহ আলম তালুকদার ও আবিদুল হক মুন্সী। এ নিয়ে দেশটিতে বাংলাদেশীদের মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫৭ জনে।
নিউইয়র্কের নেত্রকোনা সমিতির উপদেষ্টা বদর উদ্দিন আহমদের স্ত্রী নাহিদ সুলতানা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় ইন্তেকাল করেন।(ইন্না লিল্লাহে…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫৮ বছর। তিনি স্বামী সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। জানা গেছে, কয়েকদিন আগে তিনি অসুস্থ হয়ে লংআইল্যান্ড জুইস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত ১৭ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

কুইন্সের জ্যামাইকায় বসবাসকারী শাহ আলম তালুকদার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লংআইল্যান্ড জুইস হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৪২ বছর। মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। মরহুম শাহ আলমের বন্ধু বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি কমিটির সদস্য সাদী মিন্টু জানান, শাহ আলম সপ্তাহখানে আগে করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে লংআইল্যান্ড জুইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সাদী জানান, কিছু দিন আগে শাহ আলমের মা মারা যান। তার মাকে নিউজার্সিতে বাংলাদেশ সোসাইটির গোরস্তানে দাফন করা হয়। মায়ের কবরের পাশেই শাহ আলম তালুকদারকে কবর দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, তার দেশের বাড়ি বিক্রমপুরের সিরাজদিখান উপজেলায়।
এদিকে আরেক বাংলাদেশী আবদুল হক মুন্সী করোনায় আক্রান্ত হয়ে এলেমহার্স্ট হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো (৫৫)।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের প্রকোপ কিছুটা কমে যাওয়ার সাথে সাথে স্বস্তি ফিরে আসছে নিউইয়র্ক সিটিতে। বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকাগুলোর গ্লোসারী, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য স্টোরগুলো খোলা হচ্ছে। তবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত নিউইয়র্কে লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। সেই দিক বিবেচনায় নিউইয়র্ক সিটি পুরোপুরি সচল হতে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। . . . . . . . . .





