করোনার নামে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নিবে পুলিশ

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মার্চ ২০২০, ২:৩০ অপরাহ্ণসুমন ইসলাম
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করেছে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে তিন জন করোনা ভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন পুরুষ। ১ জন নারী। তিনজনের দু’জন ইতালি ফেরত। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। এছাড়া আরো দু’জনকে করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এই খবর যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সর্বত্র, সচেতনতার বার্তায় ভেসে গেসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, ওয়াটসঅ্যাপ। এতেই আতংকিত হয়ে নিত্যপণ্য কেনার জন্য বাজারে মানুষের ভিড় লেগে যায়। বেশি ভিড় ছিল মাস্কের দোকানে। এক পর্যায়ে মাস্ক ফুরিয়ে যায়। দাম বৃদ্ধি তো ছিলই। কাঁচাবাজারেও করোনার প্রভাব পড়ে। সবার মধ্যেই ছআতঙ্কের ছাপ। অভিভাবকরা চিন্তিত তাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো নিয়ে। তবে সচেতনতার বার্তা গুলি যেভাবেই ছড়ানো হচ্ছে এতে সচেতনতার চেয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করছে। আর একরকম একটা মহামারীতে ভুল তথ্য পরিবেশন করে ইউনিসেফকেও জড়িয়েও দেওয়া হচ্ছে। যেটা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সয়লাব। বিষয়টি নিয় কড়া জবাব দিয়েছে ইউনিসেফ, তাদের অফিফিয়াল ওয়েব সাইটে এই বিষয় নিয়ে ৮ই মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
তা হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ
“বিশ্বজুড়ে মানুষ নিজেদের এবং তাদের পরিবারকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করছে। এ মুহূর্তে যা প্রয়োজন তা হচ্ছে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে যথাযথ প্রস্তুতি।”
“যদিও অনেকে ভাইরাস এবং এর বিরুদ্ধে কীভাবে সুরক্ষিত থাকা যাবে সে সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করছেন, তবে এই তথ্যের মধ্যে সামান্যই উপকারী বা নির্ভরযোগ্য। স্বাস্থ্যজনিত সংকটের সময়ে ভুল তথ্য আতঙ্ক ও ভয় ছড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে মানুষ ভাইরাস থেকে অরক্ষিত থেকে যেতে পারে অথবা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আরও বেশী ঝুঁকিতে পড়তে পারে।”
“উদাহরণস্বরূপ, ইউনিসেফের সঙ্গে সম্পর্কিত দাবি করে সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি ভাষায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভ্রান্ত অনলাইন বার্তায় অন্যান্য কিছু বিষয়ের সঙ্গে এটাও নির্দেশ করা হয় যে, আইসক্রিম এবং অন্যান্য ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চললে তা এই রোগ ঠেকাতে সহায়ক হতে পারে। এটি অবশ্যই, পুরোপুরি অসত্য।”
“এই ধরনের মিথ্যাচার যারা সৃষ্টি করছেন তাদের প্রতি আমাদের সহজ একটি বার্তা হলো, থামুন। ভুল তথ্য শেয়ার করা এবং আস্থাভাজন অবস্থানে থাকা কারও নামের অপব্যবহার করে কর্তৃত্বের সঙ্গে এটাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা বিপজ্জনক ও ভুল।”
“জনসাধারণের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনাকে ও আপনার পরিবারকে কীভাবে নিরাপদ রাখতে হবে সে সম্পর্কিত সঠিক তথ্য ইউনিসেফ বা ডব্লিউএইচও, সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মতো যাচাইকৃত উৎস থেকে অনুসন্ধান করুন। অবিশ্বস্ত বা যাচাইকৃত নয়– এমন উৎস থেকে তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।”
“আপনাকে এবং আপনার প্রিয়জনদের কীভাবে নিরাপদে রাখতে হবে সে সম্পর্কিত জ্ঞানের জন্য ঠিক কোথায় যেতে হবে তা জানা আজকের তথ্য-সমৃদ্ধ সমাজে কঠিন হতে পারে। তবে আমরা নিজেদের এবং আমাদের প্রিয়জনদের সুরক্ষিত রাখার জন্য যে ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করি, তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রেও এর সত্যতা সম্পর্কে আমাদের ঠিক সেই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
“সঠিক তথ্য ও উপদেশ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসত্য তথ্য ছড়িয়ে পড়ার সময় জনসাধারণকে সে সম্পর্কে অবহিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সরকারি কর্তৃপক্ষ এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ও টিকটকের মতো অনলাইন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে ইউনিসেফ ভাইরাস সম্পর্কে যথাযথ তথ্য প্রদানে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এ বিষয়ে (এস এম পি) সিলেটে পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম)
জিদান আল মুসা জানান, ড্রিম সিলেটকে জানান,
এইরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে, সেই সাথে জনসাধারণ কোন বিষয় সঠিকভাবে নিশ্চিত এবং সত্যতা যাচাই না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার না করার আহবান জানান। . . . . . . . . .