ছাতকে শিক্ষকের লাঠি পেটায় ২১শিক্ষার্থী গুরুতর আহত
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০১৬, ১১:২৬ অপরাহ্ণরবিউল ইসলাম তারেক, ছাতক প্রতিনিধি:
ছাতকে এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের বেধড়ক লাঠি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছে ৫ম শ্রেনীর ২১শিক্ষার্থী। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এলাকাবাসী অমানবিক এঘটনার সুষ্টু বিচার দাবি করছেন।
জানা যায়, ঘটনার সময় গোবিন্দগঞ্জ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান অফিস কক্ষে অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে খোশ গল্পে মত্ত ছিলেন। এসময় ৫ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী ক্লাস রুমের বাহিরে এসে খেলাধুলা করতে থাকে। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক লাঠি হাতে তাদের প্রতি তেড়ে আসে এবং সবাইকে রুমের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে বেপরোয়াভাবে তাদের উপর চড়াও হন। এসময় ছাত্রছাত্রীদের শোর-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করতে থাকলে তিনি দরজা খুলে দেন। এসময় গুরুতর আহত ২১জন ছাত্রছাত্রীকে ফ্লোরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেতে দেখে তিনি পালিয়ে যান। এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অনেকের হাতের আঙ্গুল, হাত, পিট, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত গুরুতর আঘাত রয়েছে বলে প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান। লাঠির আঘাতে ভেঙ্গে গেছে অনেকের হাতের ও পায়ের আঙ্গুল। প্রধান শিক্ষক আতিক নিজের স্ত্রীকে এভাবে প্রায়ই পিটিয়ে থাকেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর পরিচালনা কমিটির সদস্য রইছ আলীসহ এলাকার গন্যমান্য লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাসকে বিষয়টি অবহিত করেন। ২১ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে গুরুতর আহত ১০জন হচ্ছে, মৌমিতা তাহরিন তুম্বা, তারেক হোসাইন, রবিউল হাসান, সামিয়া ইসলাম তমি, শামসুন্নাহার সনি, সুমাইয়া আক্তার, তৌহিদুল ইসলাম রাফি, আব্দুল মোতালেব রবিন, নাদিয়া আক্তার বিউটি, পপি বেগম প্রমূখ।
এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষককে মানসিক ভারসাম্যহীন দাবী করে এখান থেকে অপসারনসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, ভাই এটা শেষ করেছি। রাগ উঠে গেছিল, এজন্যে তাদেরকে মেরেছি। পরে স্কুল কমিটির রইছ আলী সাবের সামনেই ক্লাসে গিয়ে তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানিক চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে হেড মাষ্টারকে মারার কারন জানতে চাই। সে রাগের বশবর্তী হয়ে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক লাঠি পেটা বরেছে বলে জানায়। তবে বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা বা কোন ধরনের শারিরীক নির্যাতন করা সরকার নিষিদ্ধ করেছে এবং এঘটনা করা তার জন্যে কোনোভাবেই সঠিক হয়নি বলে তিনি জানান।
. . . . . . . . .