পঞ্চম বারের মত ব্যালন ডি’অর জিতলেন মেসি

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জানুয়ারি ২০১৬, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণস্পোর্টস ডেস্ক:
ইতিহাসের প্রথম ও একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে পঞ্চমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতলেন লিওনেল মেসি। এবং মেয়েদের ফুটবলে বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার কার্লি লয়েড। দেশটির তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন তিনি।
সোমবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে মেসির হাতে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হয়।
এবার দিয়ে পঞ্চমবারের মতো বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জিতলেন বার্সেলোনার এই তারকা। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা চারবার পুরস্কারটি জিতেছিলেন।
পুরস্কারটি নিজের করে নিতে মেসি পেয়েছেন মোট ৪১.৩৩ শতাংশ ভোট। রোনালদো ২৭.৭৬ শতাংশ আর প্রথমবারের মত ব্যালন ডি’অর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এসে নেইমার ৭.৮৬ শতাংশ ভোট পান।
২০০৯ থেকে শুরু করে টানা চার বার বর্ষসেরা হয়েছিলেন। প্রথমবার পুরস্কারটা ছিল শুধু ব্যালন ডি’অর, পরের তিন বার নাম বদলে ফিফা ব্যালন ডি’অর।
চার বছর পর ২০১৩ সালে মেসিকে সিংহাসন থেকে সরিয়ে সেখানে বসেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পরের বছরও ফুটবলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ এই পুরস্কারটা রিয়ালের পর্তুগিজ উইঙ্গারেরই ছিল। এবার মেসি সেই সিংহাসন পুনরুদ্ধার করলেন।
গেল বছরে সব মিলিয়ে ৬১ ম্যাচ খেলে ৫২ গোল করেন মেসি। সতীর্থদের দিয়ে ২৬টি গোল করানও তিনি।
গোল করার দিক থেকে অবশ্য গত বছরের মতো এবারও মেসির চেয়ে এগিয়ে ছিলেন রোনালদো, দেশ ও ক্লাবের হয়ে ৫৭ ম্যাচে ৫৭টি। এ সময়ে সতীর্থদের দিয়ে ১৭টি গোল করান ২০১৩, ২০১৪ সালের ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার জেতা এই তারকা।
মোট হিসেবের মতো লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও মেসির চেয়ে বেশি গোল রোনালদোর। গত বছর লিগে রোনালদোর গোল ৩৭টি, মেসির ৩৪টি। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের গোল যথাক্রমে ১৬ ও ৫।
গত বছরে বার্সেলোনার ‘ট্রেবল’ জয়ে অসাধারণ অবদান ছিল নেইমারেরও। এ সময়ে ক্লাবের হয়ে ৫৩ ম্যাচ খেলে মোট ৪১টি গোল করেন তিনি। সতীর্থদের দিয়ে ১৬টি গোল করান ২৩ বছর বয়সী এই তারকা। আর দেশের হয়ে ৯ ম্যাচে ৪ গোল করেন ব্রাজিল অধিনায়ক।
ফুটবল বিষয়ক সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিত। ২০০৭ সাল থেকে পুরস্কারটি দেয়া হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।
২০১০ সাল থেকে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে একীভূত হয়ে এর নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। বিজয়ীরা নির্বাচিত হন ফিফার ২০৭টি সদস্য দেশের জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচ এবং ফিফা ও ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর বাছাই করা ক্রীড়া সাংবাদিকের ভোটে।
. . . . . . . . .