অভিসারের বদলে জরিমানা গেইলের

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জানুয়ারি ২০১৬, ১১:৫১ পূর্বাহ্ণক্ষমা চেয়েছেন, তাই হয়তো অল্পেই পার পেলেন ক্রিস গেইল। সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় নারী সাংবাদিকের প্রতি ‘অনভিপ্রেত’ মন্তব্য করার দায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনারকে জরিমানা গুনতে হচ্ছে। অঙ্কটা অবশ্য গেইলের জন্য খুব বেশি নয়—সাত হাজার মার্কিন ডলার। যেখানে শোনা যাচ্ছিল, গেইল নিষিদ্ধও হতে পারেন বিগ ব্যাশে।
বিগ ব্যাশেরই ম্যাচ চলাকালে গত পরশু অস্ট্রেলিয়ার টিভি চ্যানেল টেনের সাংবাদিক মেলানি ম্যাকলাফলিনকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন গেইল। কথা বলছিলেন ক্রিকেট নিয়েই। কিন্তু হঠাৎ যেন রোমান্স জেগে উঠল মেলবোর্ন রেনেগেডস ওপেনারের মনে। চোখের প্রশংসা করার পর ম্যাকলাফলিনকে প্রস্তাব দিয়ে বসলেন ‘ডেট’-এর!
রাতে একসঙ্গে হালকা কিছু পানীয় উপভোগের এই নেমন্তন্ন ম্যাকলাফলিন গ্রহণ তো করেনইনি, অভিসারের প্রস্তাব দিয়ে বেমক্কা ফেঁসে গেছেন গেইল। পরে অবশ্য দাবি করেছেন, এটা ছিল নিছকই ‘দুষ্টুমি’। সমস্যা হলো, গেইলের দুষ্টুমিতে বেশির ভাগ মানুষই ‘মজা’ পাননি। চ্যানেল টেন, বিগ ব্যাশ কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বিশ্লেষক—চারদিক থেকে ভেসে আসতে লাগল সমালোচনার তির।
এর মধ্যেই গতকাল প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন গেইল। মেলবোর্ন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘আমার মন্তব্যে সাংবাদিক ম্যাকলাফলিন আহত হলে আমি তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যে মন্তব্য করেছি, তা সম্পূর্ণ মজা করে করা। তাঁকে আঘাত করা বা অসম্মান করার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল না।’ ম্যাকলাফলিনের সঙ্গে ওই দিন পরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গেইল।
কিন্তু ক্ষমা চেয়েও যে পার পাচ্ছেন না, সেটি বোঝা যাচ্ছিল আগেই। রেনেগেডসের প্রধান নির্বাহী স্টুয়ার্ট কভেন্ট্রি গেইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ডও বলেছিলেন, ‘এ ধরনের আচরণ সহ্য করা হবে না।’
সহ্য করা হয়নি ঠিক, তবে বড় শাস্তিও পেতে হয়নি গেইলকে। এমনিতে ব্যক্তিগত জীবনে বেশ আমুদে স্বভাবের হলেও মেলবোর্নের দলটির হয়ে খেলার সময় আচরণ বেশ সংযতই ছিল গেইলের। এ সময় ভালো আচরণের কারণেই মাত্র সাত হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন আচরণ না করার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
যাঁকে কেন্দ্র করে এত আলোচনা, শোরগোল, সেই ম্যাকলাফলিন নিজেও ভাবতে পারেননি জল এত দূর গড়াবে। গেইলের ক্ষমাপ্রার্থনা হাসিমুখে গ্রহণ করেছেন জানিয়ে এই সাংবাদিক বলেছেন, ‘শুনেছি, তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। আমি সেটি মেনে নিয়েছি। ব্যাপারটি এখানে শেষ হলেই এখন আমি খুশি হব।’ . . . . . . . . .