গোলাপগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থী খুন, দুই ভাইকে খুঁজছে পুলিশ
শিপন মাহমুদ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ৬:৫০ অপরাহ্ণ
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় শারমিন নামের এক মেয়েকে হত্যার অভিযোগে এক ফটো স্টুডিও মালিকের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও সাইবার আইনসহ মোট দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায়। মামলা নং- ১১৬/২০১৫ ইং ১১৯/২০১৫ ইং
মামলা সুত্রে জানা যায়,(২২ ডিসেম্বর) গোলাপগঞ্জ উপজেলার তুরুকভাগ গ্রামের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি হাসান মিয়ার মেয়ে শারমিন বেগমকে (১৭) গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে একই গ্রামের হেতিমগঞ্জ বাজারের আরিফুল ফটো স্টূডিওর স্বত্বাধিকারী সৈয়দ আরিফুল ইসলাম ও তার ভাই রাসেল আহমদ। মামলা দায়েরের পর থেকে আরিফুল ও তার ভাই রাসেল পলাতক রয়েছেন,তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।
নিহত শারমিনের মরদেহ তার বাড়ির পাশে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিবলী আহমদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি এবং এ বিষয়ে দুজনকে আসামী করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে,তাদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি আমরা।
বিষয়টি নিয়ে আরিফ ও রাসেলের বাবা শফিকুলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমার ছেলেদের ওপর মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে,ঐ মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে,আর এখন তাদের ক্ষমতার জোরে আমার ছেলেদের ফাসিয়ে দিয়েছে,তিনি বলেন,আমি খবর নিয়ে জেনেছি ঐ মেয়ের আজাদ নামের একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো,সেই ছেলেটা মেয়েটির ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়েছে,এতে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে,এই ঘটনা সবাই জানে এখন,কিন্তু ছেলেটি নিজে বাঁচতে গিয়ে আমার ছেলেদের নাম বলেছে মেয়ের বাবার কাছে,আর মেয়ের বাবাও ক্ষমতার জোরে খোজ না নিয়েই আমার ছেলেদের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে নিহত শারমিনের বাবা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি হাসান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমার মেয়ে প্রায় সময় তাদের স্টূডিওতে যাওয়া আসা করতো, আরিফ সবসময় আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিতো,সে আমার মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে এবং এ ঘটনা যেন কাউকে না জানাতে পারে এজন্য তারা দুই ভই মিলে আমার মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে,আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি,পুলিশ তাদের খুজছে,আমি তাদের ফাঁসি চাই।