তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা, এলাকায় বিক্ষোভ, নেপথ্যে কি ?
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০১৫, ১০:১৫ পূর্বাহ্ণচলন্ত গাড়ি থেকে এক স্কুলছাত্রীর শিশু (১০) এর গলাকাটা লাশ রাস্তার পাশে ছুড়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধায় ময়মনসিংহ শহরের বাইপাস এলাকায় কলপা নামক স্থানে রোডের বাদেকল্পা এলাকায় নাদিরার লাশ পাওয়া যায়। স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করেছে তার ফুপাতো ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন ঘটনার শিকার ঐ স্কুলছাত্রী তৃতীয় শ্রেনীতে পড়তো। আর পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন বিয়ের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা । আর ঘটনায় নিশ্চিত অভিযোগের তীর হত্যাকান্ডের শিকার ঐ স্কুল ছাত্রীর ফুফাতো ভাইয়ের দিকে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন , লাশ ফেলে পালানোর সময় এলাকাবাসী টের পয়ে এগিয়ে এসে দেখে স্কুল ড্রেস পরা এক ছাত্রীর গলাকাটা মরদেহ রাস্তার পাশে ধান ক্ষেতে পরে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শিশু নাদিরার বাবা-মায়ের একমাত্র কন্যা। তার এমন নির্মম মৃত্যুতে পরিবারের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। ময়মনসিংহ শহরের মাসকান্দা এলাকার ভ্যান চালক ইউনুস মিয়া সন্তানের এমন মৃত্যুকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে এই ঘটনায় (এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত )এখনও কাউকে গ্রেফতার হয়নি। এছাড়া মামলাও হয়নি।
নিহতের বাবা ইউনুস মিয়া সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, নাদিরার ফুফাতো ভাই হাবীব স্কুলের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের মাসকান্দা এলাকায়, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাদিরাকে একটি গাড়িতে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর বিকেলে তার গলাকাটা লাশ বাদেকল্পা এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসে।
ঘটনার পর হত্যাকারীর গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন করা গেলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি । নিহত স্কুলছাত্রীর শরীরে ১৭টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
. . . . . . . . .