তাজিকদের বিপক্ষে আবারো বাংলাদেশের পাঁচ গোলের লজ্জা!

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ নভেম্বর ২০১৫, ১০:২২ অপরাহ্ণফিরতি লেগে স্বাগতিক তাজিকিস্তানের বিপক্ষে এক প্রকার দিশেহারা হয়ে পড়ে মামুনুলরা। ঢাকায় এই দলের বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেই একটি পয়েন্টই সম্বল। এই হারের ফলে এশিয়া কাপের দরজাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের।তাজিকদের সঙ্গে জিতলে পাঁচ দলের গ্রুপে চতুর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। সে ক্ষেত্রে এশিয়া কাপের বাছাইপর্বের দরজাটাও খুলে যেত।
এদিন ২৬ মিনিটের মধ্যে তাজিকিস্তানের বিপক্ষে দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১৬ আর ২৬ মিনিটের সময় দুটি গোলই করেন ডিজালিলভ। পরে করেছেন আরো দুটি।
১৬তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে বল নিয়ে বাংলাদেশের বক্সে ঢোকেন তাজিকিস্তানের অধিনায়ক ভ্যাসিভ। বক্সের ভেতর ঠিক মাঝখানে অরক্ষিত ছিলেন ওই ডিজালিলভ। ভ্যাসিভের থেকে বল পেয়েই শট করেন গোলে।
২৬তম মিনিটের সময় আবার ডান দিক দিয়ে আক্রমণে যায় তাজিকিস্তান। ডিজালিলভকে চোখেই রেখেছিলেন কমল। কিন্তু আটকাতে পারেননি। এক ছটকায় আউটসাইড করে বেরিয়ে যান। এতটুকু সময় নষ্ট না করেই দূর থেকে শট নেন। নিরুপায় সোহেল দ্বিতীয় গোল হজম করেন।
বাংলাদেশ গোলে প্রথম শট রাখে ৩৩তম মিনিটে। বেশ খানিকটা দূর থেকে হেমন্তর দুর্বল শট জমা পড়ে গোলরক্ষক ডোডভের হাতে। ৩৪তম মিনিটে বাম দিক থেকে ফরওয়ার্ড লাইনে ওভারল্যাপ করে উঠে আসেন কোমল। ইনসাইড-আউট সাইড করে বল দেন মামুনুলকে। ঠিক পজিশনেই ছিলেন টাইগার অধিনায়ক। কিন্তু গোলে বল রাখতে পারেননি। বারের উপর দিয়ে মারেন।
৫১তম মিনিটে গোলমুখি ডিজালিলভকে বক্সের ভেতর ফেলে দেন নাসির। পেনাল্টি পায় তাজিকিস্তান। আজারভ গোল করে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন দলকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে শতভাগ তালগোল পাকিয়ে ফেলে মামুনুলরা। ৫৪তম মিনিটে লোপেজ মাঠে নামান মাশুক মিয়া জনিকে। উঠিয়ে আনেন রনিকে। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে যেয়ে রক্ষণ দৃষ্টিকটু ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। কে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, কে মূল ডিফেন্ডার সেটাই বোঝাই যাচ্ছিল না।
৫৯তম মিনিটে ডিজালিলভ হ্যাট্রিক পূরণ করেন। বক্সের ভেতর এরিয়াল বলে হেড করেন। দুর্বল হেড ছিল। বল মাটিতে পড়ে সোহেলের মাথার উপর দিয়ে বারে লাগে। ফিরতি বলে টোকা দিয়ে জালে জড়ান।
৭০তম মিনিটে মামুনুলের কর্নার থেকে করা জীবনের হেড আরেকটু বুদ্ধিদীপ্ত হলে এক গোল শোধ দিতে পারত বাংলাদেশ। বরং মিনিট চারেক বাদেই ব্যবধান ৫-০ করে ফেলেন ওই ডিজালিলভ। এটি তার চতুর্থ গোল। বক্সের ভেতর ক্রস পেয়ে প্রথম টাসে একটু সামনে যান। তারপর কেষ্টর সামনে থেকে বিদ্যুৎগতির শটে বল জালে জড়ান।
২০০৭ সালে এই দলের বিপক্ষে পাঁচ গোল হজম করলেও ২০১০ সালে তাদের ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। আবার সেই পাঁচ গোল হজম কিন্তু একটা বার্তা দিয়ে গেল- ২০০৭ থেকে ২০১৫; তেমন কিছু বদলায়নি!
. . . . . . . . .