নেইমার-সুয়ারেজে বার্সার দারুণ জয়

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ নভেম্বর ২০১৫, ১:২৬ অপরাহ্ণচোটের কারণে লিওনেল মেসি মাঠের বাইরে থাকলেও বার্সেলোনার জয়রথ ছুটছেই। আর বার্সার এই জয়রথের সারথি নেইমার ও লুইস সুয়ারেজ। লা লিগার পর বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগেও জ্বলে উঠলেন আক্রমণভাগের দুই তারকা। আর তাতে বার্সাও পেল দারুণ এক জয়। গ্রুপ পর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে নেইমারের দুটি আর সুয়ারেজের একটি গোলে বাতে বরিসভকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে লুইস এনরিকের দল।
এ নিয়ে বার্সার শেষ ২১ গোলের ১৮টিই করলেন নেইমার আর সুয়ারেজ।
বার্সেলোনার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় শুরু হয় ম্যাচটি। ঘরের মাঠে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে একটি ফ্রি কিক পেয়েছিল বার্সা। তবে বল বক্সের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন নেইমার।
১৫ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ একটি সুযোগ এসেছিল বার্সার সামনে। মাঝমাঠ থেকে নেইমারকে পাস দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু ঠিক সময়ে বলের নাগাল নিতে পারেননি নেইমার। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে নেইমারকে রুখে দেন বাতে বরিসভের গোলরক্ষক চেরনিক।
১৭ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বাতে বরিসভও। ডি বক্সের ঠিক সামনেই ফ্রি-কিক পেয়েছিল তারা। তবে গর্দেচুকের নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন বার্সার গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
ম্যাচের ২০ মিনিটে পায়ের পেশিতে টান পড়ায় মাঠ ছাড়েন প্রথম লেগে বাতের মাঠে জোড়া গোল করা বার্সার ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মুনির এল হাদ্দাদি।
২৫ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ আসে বার্সার সামনে। বক্সের ভেতর ডানদিকে সুয়ারেজকে ক্রস দিয়েছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। সুয়ারেজ বল পেয়ে পাস দেন মুনিরকে। কিন্তু পোস্টের সামনে থেকে মুনিরের শট অতিথি এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে দিয়ে চলে যায়।
অবশেষে ৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বার্সাকে এগিয়ে দেন নেইমার। বক্সের ভেতর মুনিরকে টেনে ধরে ফেলে দেন অতিথি খেলোয়াড় ফিলিপ ম্লাদেনোভিচ। ফলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে ডান পায়ের শটে বাতের গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন নেইমার।
৩৬ মিনিটে বার্সার ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন আদ্রিয়ানো। বক্সের ভেতর তাকে পাস দিয়েছিলেন নেইমার। বাতের গোলরক্ষক এগিয়ে এসে বাধা দিতে গেলে শট নেন আদ্রিয়ানো। কিন্তু বল পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। ফলে এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় স্বাগতিকদের।
বিরতির পর ম্যাচের ৬০ মিনিটে নেইমার-সুয়ারেজের দারুণ রসায়নে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সা। বাঁ দিক থেকে বক্সের সামনে সুয়ারেজকে পাস দেন নেইমার। বাতের এক খেলোয়াড়কে কাটিয়েই দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।
৬৭ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করার দারুণ একটি সুযোগ হারান নেইমার। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি ব্রাজিল তারকা। তার শট গোলরক্ষকের গায়ে লেগে পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।
অবশ্য ৮৩ মিনিটে ওই নেইমারই স্কোরলাইন ৩-০ করেন। আবারও সেই নেইমার-সুয়ারেজ রসায়ন। মাঝমাঠ থেকে ডানদিকে সুয়ারেজকে লম্বা পাস দেন সার্জিও রবার্তো। সুয়ারেজ আবার বল বাড়ান নেইমারকে। ফাঁকা জালে বল জড়াতে কোনো ভুল করেননি এবার ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক।
এই জয়ে ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে নকআউট পর্বের টিকিট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে বার্সেলোনা। এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে বায়ের লেভারকুসেনকে ৩-২ গোলে হারিয়ে ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রোমা। সমান ম্যাচে লেভারকুসেন ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ও বাতে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে রয়েছে।
. . . . . . . . .