মহিলা আসামীকে হাজত থেকে বের করে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে !!

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০১৫, ১০:২২ পূর্বাহ্ণথানা হাজতে মহিলা আসামিকে যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগে উঠেছে পিরোজপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মাসুমুর রহমানের বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। সদর থানার চর লখাকাঠী গ্রামের এক নারী (২৬) সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন।
আদালত মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম কিবরিয়া সোমবার বিকালে পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে বাদিনীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মো. মাহবুবুর রহমান।
মামলার বাদী ঐ নারী (নাম প্রকাশ করা হলনা )সাংবাদিকদের জানান, রাতে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে নানা ভাবে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরদিন সকালে থানার ওসি ও অন্যদের কাছে ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ করলে তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে জেলহাজত থেকে জামিন পেয়ে বেরিয়ে পুনরায় ওসির কাছে নালিশ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন তিনি ।
তবে এমন ঘটনার কথা অস্বীকার করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ঐ মহিলা ও তার মাকে গুরুতর জখম ও চাঁদাবাজির দুটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুমুর রহমান। তাদের থানায় রাখা অবস্থায় এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। ঐ নারী ও তার মাকে আদালতে পাঠানোর আগে থানার ডিউটি অফিসার, সেন্ট্রি, দায়িত্বরত মহিলা পুলিশ কিংবা ওসির কাছেও এ ধরনের কোন ঘটনার কথা তারা জানায়নি। গ্রেপ্তার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিমু এ মামলা করেছেন বলে ওসি দাবি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুমুর রহমান বিশ্বাস বাদিনী ও তার মা মাহমুদা বেগমকে গত ১৭ই অক্টোবর দুপুরে দুইটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে মহিলা হাজতখানা থেকে মেয়েকে বের করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরের দিন মা ও মেয়েকে আদালতে চালান দিলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠান। ২৫শে অক্টোবর জামিন পেয়ে ঘটনার শিকার ঐ নারী আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে সোমবার আদালতে এ মামলা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে , মামলার আসামি পিরোজপুর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মাসুমুর রহমান বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, তিনি চক্রান্তের শিকার। অভিযোগকারীনি ও তার মায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করায় এবং আদালতে চালান দেয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এ মামলা করেছে।
. . . . . . . . .