নববধূর অশ্লীল ভিডিও ধারণ, স্বামীসহ ৫ জনের ৭ বছর দণ্ড

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০১৫, ১০:০০ পূর্বাহ্ণশেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কে নববধূর শ্লীলতাহানির চাঞ্চল্যকর মামলায় স্বামীসহ ৫ জনের ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ৩ নবেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে জনাকীর্ণ আদালতে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ সায়েদুর রহমান খান ওই ৭ আসামীর প্রত্যেককে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। দন্ডিতরা হচ্ছে ইকোপার্ক এলাকার বখাটে শফিকুল ইসলাম (২৭), আব্দুস ছালাম (২৫), মনু মিয়া (২৬), ইজারাদার গোলাম মোস্তফা (৩০) ও স্বামী নজরুল ইসলাম বুলবুল (২৭)।
জানা যায়, গত বছরের ১৭ জুলাই নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে স্বামীর সাথে বেড়াতে যাওয়া ওই নববধূকে বখাটেরা অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই নববধূর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে বখাটেরা মোবাইলে ব্লুট্রুথ ও ইন্টারনেটে সেই অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় নববধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণআইনে নালিতাবাড়ী থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে।
চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় তদন্ত শেষে পুলিশ সংশ্লিষ্ট আইনে নববধূর স্বামী নজরুল ইসলাম বুলবুল ও ইকোপার্কের কর্মচারী গোলাম মোস্তফাসহ ৫ আসামীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। শ্লীলতাহানির মামলায় বিচারিক পর্যায়ে বাদী, ভিকটিম, জবানবন্দি গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রায় ঘোষণার পর রাষ্টপক্ষের পিপি এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার উপযুক্ত বিচার হয়েছে। তবে আসামীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট হরিদাস কর্মকার স্বপন দাবি করেছেন, মামলায় ইকোপার্কের ইজারাদার গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির সহায়তার কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সে ষড়যন্ত্রের শিকার বিধায় উচ্চ আদালতে আপীল দায়ের করা হবে।
. . . . . . . . .