নতুন প্রক্রিয়ায় কর্মী নিতে ঢাকায় মালয়েশীয় প্রতিনিধি

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০১৫, ১০:০৬ অপরাহ্ণসরকার থেকে সরকার (জিটুজি) প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির স্থবিরতা কাটাতে ও নতুন প্রক্রিয়ার রূপরেখা চূড়ান্ত করতে ঢাকায় এসেছে দেশটির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে আছেন দেশটির মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব দাতো শরিফুদ্দিন আহমেদ।
সোমবার দুপুর ১টায় উচ্চপর্যায়ের এ প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছে। দলের বাকি সদস্যরা হলেন- মালয়েশীয় হাইকশিনার এইচ ই নরলিন বিনতে উসমান, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শ্রম বিভাগের (ব্যবস্থাপনা) ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সারি বিন আব্দুর রহমান, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি জামরি বিন মাট জাইন এবং ফরেন ওয়েজার সেক্টরের প্রধান সহকারী সেক্রেটারি সেপিশ।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রবাসীকল্যাণ ভবনে মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে এ প্রতিনিধিদল। সকাল ১০টায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্পেশাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শুরু হবে। দিনব্যাপী বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে জিটুটি পদ্ধতি থেকে জিটুজি প্লাস চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হতে পারে এই বৈঠকে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ায় গিয়ে কর্মী নিয়োগের সমঝোতা চুক্তি করবে।
তবে মালয়েশিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমিক পাঠানোর বেসরকারি এজেন্টদের সংগঠন বায়রার কিছু নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের সঙ্গে এবার কোনো বৈঠকের কর্মসূচি রাখেনি প্রতিনিধি দলটি।
এর আগে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এ বিষয়ে বলেছিলেন, ‘বিটুবি বা বিজনেস টু বিজনেস পদ্ধতিতে কর্মী নিতে চায় না মালয়েশিয়া। তাই বিটুবির মতোই বিদ্যমান জিটুজি চুক্তি সংস্কার করে ‘জিটুজি প্লাস’ হচ্ছে। শিগগির এ ব্যাপারে উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। আমরা মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে দ্রুত একটি চুক্তিতে পৌঁছতে চাই।’
. . . . . . . . .