আইনের শেষ দেখে ছাড়ব : কাদের সিদ্দিকী

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০১৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণনির্বাচন কমিশনের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ এনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। তবে আমি আইনের শেষ দেখে ছাড়ব। নির্বাচন কমিশন রেফারির দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও তারা পক্ষপতিত্ব করছেন।
সোমবার সকালে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনের স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। এছাড়া হাইকোর্টের জারি করা রুল বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চে নিষ্পত্তির আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী।
আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন চেম্বার আদালতে গিয়ে যে আবেদনটি করেছেন, সেটি ঠিক হয়নি। তারা বাড়াবাড়ি করেছেন।’
এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবীর বলেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত দেখব। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পরে যাব কি যাব না সিদ্ধান্ত নেব।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১০ নভেম্বর এ আসনে উপ-নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল। তবে গত ২৭ অক্টোবর আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত উপ-নির্বাচন স্থগিত করেন। একইসঙ্গে এ উপ-নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ইসি’র আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়ে আজ সোমবার এর শুনানির দিন ধার্য করে দেন।
এর আগে ২৬ অক্টোবর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদনটি করেছিলেন ইসির অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড ব্যারিস্টার ড. মো. ইয়াসিন খান।
কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র ইসি অবৈধ বলে বাতিল করার পর রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। এ রিটের শুনানি নিয়ে গত ২১ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ কাদের সিদ্দিকীর আবেদন গ্রহণ করে তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে আদেশ দেন। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আদেশের বিষয়ে রুল জারি এবং রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করেন আদালত।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
অন্য দলের পাশাপাশি এতে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর গত ১৬ অক্টোবর এ দুই নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।
১৮ অক্টোবর বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে রায় দেন।
গত বছর টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর) আসনের উপ-নির্বাচনেও প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। সে সময়ও ঋণখেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
. . . . . . . . .