আজ কবি মুহিত চৌধুরীর জন্মদিন

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০১৫, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণসিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব-এর সভাপতি, দৈনিকসিলেট ডটকম ও মাসিক বিশ্ববাংলার সম্পাদক কবি মুহিত চৌধুরীর আজ জন্মদিন। মুহিত চৌধুরী একাধারে কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সাংবাদিক ও সফল সংগঠক। ১৯৬০ সালের ২রা নভেম্বর সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চক্রবাণী গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন করেন।
দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে লেখেন গল্পের বই ’আঁখি ভরা জল’ এবং নাটক ’প্রতিশোধ নেব না’। আশির দশকে মুহিত চৌধুরী একজন শক্তিমান কবি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এসময় তাঁর লেখালেখির মাত্রা বেড়ে যায় । জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় নিয়মিত লেখা ছাপা হতে থাকে।
এপর্যন্ত কবি মুহিত চৌধুরীর ন’টি বই বেরিয়েছে। এগুলো হচ্ছে প্রতিশোধ নেব না (নাটক), সানাই কথা বললো না (কবিতা), নির্লেজ্জর লজ্জা (কবিতা), আমেরিকায় বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি (গবেষণা), যদি ভালোবাসা মরে যায় (কবিতা), সহজ হজ্জ্ব গাইড(ধর্ম বিষয়ক), ফিরে আসা (উপন্যাস), কসম সিনাই পর্বতের (কবিতা), পাখি গেলে পোকার বাস (গীতি সংকলন)।
কবি মুহিত চৌধুরী গীতি সংকলন প্রসঙ্গে বিশিষ্ট গবেষক প্রফেসর নন্দলাল শর্মা বলেছেন-’সিলেট হল গানের স্বপ্নরাজ্য। এই রাজ্যে এখনও বিচরন করছেন মরমী ফকির। সংসার বিবাগী না হয়েও অনেকে মরমী রাজ্যে বিচরণ করে আমাদের সংগীত জগতকে সমৃদ্ধ করেছেন। একুশ শতকে এসেও মরমী গানের ধারা সিলেটে সজীব ও প্রবাহমান। এ ধারার একজন উল্লেখযোগ্য গীতিকবি মুহিত চৌধুরী। কবি গীতিকার-ঔপন্যাসিক-নাট্যকার-গবেষক ও সম্পাদক নানা পরিচয় তার। দীর্ঘকাল ধরে তিনি গান লিখেছেন। মরমীগান, পল্ল্লীগীতি আধুনিক প্রভৃতি বিচিত্র ধরনের গান তিনি সমান দক্ষতায় লেখেন। বাংলাদেশ বেতারের তিনি একজন প্রসিদ্ধ গীতিকার ও নাট্যকার। ১৯৯৫ সালে একটি মানবতাবাদী কবিতা লিখে যুক্তরাষ্ট্রের ’দ্যা ন্যাশনাল লাইব্রেরী অব পোয়েট্রি’ থেকে তিনি এডিটর চয়েজ এওয়ার্ড পান। কবির পরিচিতসহ কবিতাটি ন্যাশনাল লাইব্রেরী তাদের ’স্পার্কলেস ইন দ্যা সেন্ড’ নামক বিশাল কাব্যসংকলনে প্রকাশ করে।
সিলেটে অনলাইন সাংবাদিকতার বিকাশের জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব এবং বাংলাদেশে অনলাইন সাংবাদিকদের প্রথম সংগঠন ‘অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট(ওজাস) এর প্রতিষ্ঠাতা।
জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবে আয়োজন করা হয় এক সংবর্ধনা সভার। সাংবাদিক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা অব্যাহত রয়েছে।
. . . . . . . . .