হিরন মাহমুদ নিপুর তৈরী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৭ দিনের আলটিমেটাম

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ নভেম্বর ২০১৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ৭ দিনের মধ্যে সহ সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলতে নিদের্শ : প্রিন্সিপাল নিতাই চন্দ্র চন্দ
সিলেট এমসি কলেজের সীমানা ঘেষা বালচুর-নয়াবাজার সড়কের পাশে সরকারী জায়গায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিরন মাহমুদ নিপুর দখলে গড়ে উঠা পাকা দালান ঘর সহ সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সরেজমীন পরিদর্শনে গিয়ে তৈরি পাকা ঘর সহ সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলতে নিদের্শ দেন এমসি কলেজের প্রিন্সিপাল নিতাই চন্দ্র চন্দ। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এমসি কলেজের হোষ্টেলের সীমানা ঘেষা সরকারী জায়গায় গত কয়েকমাস ধরে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে, তাই বৃহস্পতিবার সরেজমীন গিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেই। ০৭ নভেম্বরের মধ্যে এগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। সম্প্রতি এমসি কলেজের সীমানা ঘেষা বালুচর সড়কে সরকারী জায়গার উপর অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে একটি পাকা ঘর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ঘরটি এমসি কলেজের সীমানায় বানানো হয়েছে। তাছাড়া এটি ছড়ার উপর নির্মিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
নির্মিত পাকা ঘরটি দলীয় অফিস হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে। সরকারী জায়গা দখল করে এভাবে দলীয় অফিস নির্মান করা নিয়ে বালুচর এলাকায় সর্বস্থরের জনসাধারণ মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। তারা এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসন সহ সরকার দলের শীর্ষ নেতাদের দ্বারস্থ হয়েও বিচার পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে টুলটিকর ইউপির চেয়ারারম্যান মোসাব্বির আহমদ বলেন,‘ রাস্তা ও সড়কের পাশে জায়গা দখল করে কে বা কারা ঘর বানিয়েছে এটা আমি শুনেছি। যারা সরকারী জায়গা দখল করে ঘর তুলেছে তারা কোন প্রকার অনুমতি নেয়নি। এটা পুরোপুরি অবৈধ।
এদিকে এমসি কলেজ প্রিন্সিপাল কর্তৃক উচ্ছেদের নোটিশ দেয়ায় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জোনাকী আবাসিক এলাকার এক বাসিন্দা জানান, রাতের বেলা এ জায়গা দিয়ে চলাচল করতে বুক কেঁপে উঠে। সব সময় এখানে যুবকদের আড্ডা বসে।
অভিযোগ আছে, বালুচর এলাকায় সংঘটিত সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনার সময়ও অবৈধ স্থাপনায় আড্ডা চলতো। এলাকাবাসী মনে করেন মধ্যরাতে উক্ত স্থানসহ এলাকায় অভিযান চালালেই ডাকাতির ঘটনার রহস্য উন্মেচিত হতে পারে। এ ব্যাপারে হিরন মাহমুদ নিপুর বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। . . . . . . . . .