প্রস্তুতি ম্যাচেও বিধ্বংসী ডি ভিলিয়ার্স

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ নভেম্বর ২০১৫, ২:৩১ অপরাহ্ণটেস্ট সিরিজের আগেও ভারতের দুশ্চিন্তা আরও একবার বাড়িয়ে দিলেন প্রোটিয়া বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিভাবে?
তার ঘাতক ব্যাটিংয়ে (৩৫৮ রান, তিনটে সেঞ্চুরি) ভারতের ঘরের মাঠে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারের ক্ষত এখনও শুকায়নি ভারতের। তারওপর শনিবার ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র হলেও মারকাটারি সেঞ্চুরিতে এবি ডি দেখালেন টেস্টেও তাকে নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে বিরাট কোহলিদের।
প্রথমে অবশ্য বোর্ড একাদশের পেসার শার্দুল ঠাকুরের (৪-৭০) দাপটে শনিবার এক সময় ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। মুম্বাইয়ের পেসার শার্দুল আগের দিন স্টিয়ান ফন জিল আর নাইট ওয়াচম্যান সিমন হারমারকে তুলে নিয়েছিলেন।
এদিন শার্দুলের শিকার ফ্যাফ ডু প্লেসিস (৪) ও টেস্ট ক্যাপ্টেন হাসিম আমলা (১)। ম্যাচের পর এ দিন শার্দুল আবার হুঙ্কার দেন, ‘র্যাঙ্ক টার্নার না হলে যে কোনও পিচ থেকে উইকেট তুলতে আমায় রোখা যাবে না।’
বিসিসিআই বোর্ড একাদশের প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানের জবাবে শুক্রবার দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ২ উইকেটে ৪৬। শার্দুল সেটা ৫৭-৫ করার পরই দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের স্টিয়ারিং তুলে নেন এবি ডি। ১৩১ বলে আঠারোটা বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ১১২ রানের ইনিংসে এবিডি দলের রান নিয়ে যান ২৫৯-এ।
যে ইনিংস দেখে শার্দুল বলেন, ‘দারুণ ব্যাটিং করেছে ডি ভিলিয়ার্স। আমাদের কোনও সুযোগই দেয়নি।’ শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থেমে যায় ৩০২। ৬ রানের লিড নিয়ে।
জবাবে বিসিসিআই বোর্ড একাদশ দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে কোন উইকেট না হারিয়ে ৯২। ম্যাচ ড্র। প্রথম ইনিংসে ভারতের টেস্ট ওপেনার লোকেশ রাহুল ৭২ রান করার পর এ দিন অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে। অপর ওপেনার চেতেশ্বর পূজারা করেন অপরাজিত ৪৯।
অবশ্য শুধু এবিডিই নয়, ডেল স্টেইনের আগুনে বোলিং যে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জে ফেলবে সেটা আগাম বলছেন লোকেশ। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে স্টেইনের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা রাহুল বলেন, ‘ভেবেছিলাম স্টেইনকে সামলানো সহজ হবে। আজ ওর বোলিং দেখে অন্য রকম অভিজ্ঞতা হল। স্টেইনের বলে ফিল্ডিং বা কিপিং করাটা এক রকম। কিন্তু ওর বিরুদ্ধে ব্যাট করা তাও আবার লাল বলে, যেটা আবার মুভও করছে, একেবারে অন্য ব্যাপার।’
. . . . . . . . .