জাকিরে উজ্জীবিত সিলেট ছাত্রলীগ, চলছে কমিটি ভাঙ্গা-গড়া

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ নভেম্বর ২০১৫, ৯:০৪ পূর্বাহ্ণসিলেট বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী এস এম জাকির হোসাইন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর উজ্জীবিত হয়ে ওঠেছেন সিলেটের নেতাকর্মীরা। গতি এসেছে ছাত্রলীগে। সিলেটে সংগঠনকে আরো সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে চলছে কমিটি ভাঙা-গড়া। জেলা ও মহানগরের আওতাধীন সকল মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের বায়োডাটাও সংগ্রহ করছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিটের দায়িত্বে থাকা নেতারা।
গত ২৬ জুলাই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে ঘোষণা করা হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক পদ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার এস. এম. জাকির হোসাইন। দায়িত্ব পেয়েই তিনি সিলেট ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নানা দিকনিদের্শনা দিয়ে চলছেন। তার নির্দেশেই বিভিন্ন শাখার কমিটি ভাঙা গড়া শুরু হয়।
এই ভাঙ্গা-গড়া শুরু হয় গত ১৯শে সেপ্টেম্বর সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন মেয়াদোত্তীর্ন জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে। একইদিনে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা কমিটি স্থগিত এবং সর্বশেষ গত বুধবার সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। উপজেলার সাথে সাথে গত ১৩ অক্টোবর জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়। এছাড়া নতুন কমিটি দেয়া হয় সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে।
সিলেটের সাথে তাল মিলিয়ে গত ৬ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলা এবং গত বুধবার জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ বলেন, নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যেই মেয়াদোত্তীর্ন উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবহিত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করার জন্য উপজেলাগুলো থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ চলছে। ইতোমধ্যে জকিগঞ্জ উপজেলার জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ শেষ হয়েছে, শীঘ্রই কর্মী সভার মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করা হবে।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রনি বলেন, বিলুপ্তকৃত এসব উপজেলার কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই পেরিয়েগেছে। আর মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের পুর্বের কমিটি নিয়ে অভ্যন্তরীন বিরোধ থাকায় উপজেলা পর্যায়েও সেই বিরোধ জেগে উঠেছিল। যার ফলে উপজেলাগুলোতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। বর্তমানে এই উপজেলাগুলোর কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে হলে প্রয়োজন নতুন কমিটির। এর জন্য অতিশীঘ্রই সকল উপজেলা কমিটিগুলো গঠন করা হবে।
. . . . . . . . .