সমশের মবিনের পদত্যাগ : সিলেট বিএনপিতে হঠাৎ ঐক্য!

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০১৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ণরাজনীতিতে ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব, আবার সাত বছরের মাথায় নাটকীয় পদত্যাগ করলেন সমশের মবিন চৌধুরী। বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগে সিলেট বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে মনে করছেন, সাবেক এই আমলার পদত্যাগ দ্বিধাবিভক্ত সিলেট বিএনপিকে ফের ঐক্যবদ্ধ করবে।
সেনা-সমর্থিত সরকারের সময় ২০০৮ সালে রজিনীতিতে নাম লেখান সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও কূটনীতিক সমশের মবিন চৌধুরী। এরপর রাতারাতি দলের ভাইস চেয়ারম্যান পদ পেয়ে যান। দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকলেও দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে তেমন একটা যোগাযোগ ছিল না তার।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এম সইফুর রহমান মারা যাওয়ার পর সিলেট বিএনপির সাংগঠনিক দায়িত্ব পান নিখোঁজ দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। তিনি গুম হওয়ার পর সিলেট বিএনপির অভিভাবকের দায়িত্ব নেন সমশের মবিন চৌধুরী। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন ইউনিট কমিটি ভেঙে নিজের অনুগত ও অপেক্ষাকৃত অযোগ্যদের দলের দায়িত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
সর্বশেষ সিলেট সদর উপজলা বিএনপির কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন নিয়ে তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেন সদর উপজেলা বিএনপির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদ আহমদ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম তারেক কাল মের সমর্থকরা।
এদিকে, সমশের মবিনের পদত্যাগ সিলেট বিএনপিতে তেমন প্রভাব পড়বে না, বরং সিলেট বিএনপি ফের ঐক্যবদ্ধ হতে পারে বলে মনে করছেন দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট বিএনপির মাঠপর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, সমশের মবিনের যেভাবে হঠাৎ উত্থান হয়েছিল, সেভাবেই পতন হয়েছে। তিনি দায়িত্ব পেয়ে দলকে বিভক্ত করেছেন। এ জন্য দল থেকে তার পদত্যাগ দলের জন্য ক্ষতির কারণ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। বরং তাকে নিয়ে দলে যে বিভক্তি এসেছিল তার অবসান হবে।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি বলেন, সমশের মবিন চৌধূরী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হলেও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে তার তেমন গ্রহণযাগ্যতা ছিল না। এ জন্য তার পদত্যাগে সিলেট বিএনপিতে তেমন একটা প্রভাব পড়বে না। বরং সিলেটের বিভক্ত বিএনপি ফের ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল গফ্ফার বলেন, তিনি কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন ঠিক, তবে তার পদত্যাগ সিলেট বিএনপির কার্যক্রমে তেমন প্রভাব ফেলবে না।
সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদ আহমদ চেয়ারম্যান বলেন, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকা- করেছেন। তার পদত্যাগে দলে প্রভাব পড়বে না।
. . . . . . . . .