তোরণ আর বিলবোর্ডে ভরপুর কুলাউড়া শহর!

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০১৫, ৭:৩৭ অপরাহ্ণকুলাউড়া শহর এখন মেয়র প্রার্থীদের বিলবোর্ড আর তোরনে ভরপুর হয়ে গেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে তোরণ, ইলেকট্রিক পিলার, গাছ ভবনের গুরুত্বপূর্ণ ছাদ দখল করে টানানো হয়েছে ভোটারদের মনোযোগ কাড়তে সালাম ও শুভেচ্ছা জানানো বড় বড় বিলবোর্ড। এসবই শুধু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। একাধিক মেয়র প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেতেও চালিয়ে যাচ্ছেন জোর গ্রুপিং লবিং।
পৌরসভার আগামী নির্বাচনে কুলাউড়ায় বর্তমানে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে। মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর গ্রপিং লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম সফি আহমদ সলমানম দলের অন্যতম নেতা আলহাজ্ব মোঃ সফি আলম ইউনুছ ও শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সিপার উদ্দিন আহমদ। তবে বিগত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা শফিউল আলম শফি’র কোন তৎপরতা এবার লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে দলীয় এসব প্রাথীদের তৎপরতা বেড়ে গিয়েছিলো কয়েকগুণ। কেননা কুলাউড়া পৌরসভায় রয়েছে সনাতন পন্থীদের একটা ভোট ব্যাংক। ফলে তাদের নজর কাড়তে চালাচ্ছেন বিশেষ তৎপরতা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর মৃত্যুতে দলীয় মনোনয়ন লাভের মোড় ঘুরে গেছে। বর্তমানে সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপির বলয়ে লোক দলীয় মনোনয়ন লাভ করবে বলে সাধারণ ভোটারদের অভিমত।
এদিকে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীদের কোন তৎপরতা নেই বললেই চলে। কুলাউড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হবেন। কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি’র একাংশের সভাপতিও তিনি। নীরবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিনি তার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি থেকে বিগত নির্বাচনে তিনি একক প্রার্থী ছিলেন। আগামী নির্বাচনেও একক প্রার্থী হিসেবে তার নাম শুনা যাচ্ছে। তিনি অনেকটা নীরবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মেয়র প্রার্থীদের তৎপরতায় অনেকটা আড়াল পড়ে গেছে কাউন্সিলারদের নির্বাচনী তৎপরতা। ওয়ার্ড কাউন্সিলার হিসেবে ৯টি ওয়ার্ড ও ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে দলীয় প্রতীক ও প্রার্থীর দলীয় পরিচয়ে নির্বাচন ঘোষণা দেয়ায় চলছে না আলোচনা সমালোচনা। কে পাবেন ক্ষমতাসীনদের প্রতীক? তা নিয়ে যেন একটা অঘোষিত লড়াই শুরু হয়েছে। নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা হলে এ নিয়ে অনেক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে বলে সচেতন ভোটরদের অভিমত। . . . . . . . . .