জুড়ীর ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৮০টি পদ শূণ্য

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০১৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণমৌলভীবাজরের জুড়ী উপজেলার ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৮০টি পদ শূণ্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ২৩টি বিদ্যালয়। এতে করে ওই বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ওই বিদ্যালয়গুলোতে ২৩টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। এছাড়া রেজিষ্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ ঘোষনা করার পর প্রধান শিক্ষকের শূণ্যতা বেড়েছে।
সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) থাকায় তাদের সহজে মেনে নিতে পারছেননা অন্যান্য সহকারীরা। জুড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা (রাজস্ব) ৪৫টি, জাতীয়করণ ঘোষিত ২১টি ও প্রাক-প্রাথমিক ৪৫টি মিলে মোট ১১১টি। এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।
একই সাথে এসব বিদ্যালয়ে ৫৭টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য। উপজেলা সদর জায়ফরনগর, পশ্চিম জুড়ী, পূর্ব জুড়ী, গোয়ালবাড়ী, সাগরনাল ও ফুলতলা ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকবিহীন বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের (অঃ দাঃ) পালন করছেন সহকারী শিক্ষকরা।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষকের অতিরিক্ত দায়িত্ব তাদের কাছে বাড়তি বোঝা। তাদের অভিযোগ, সবসময় তাদের দাপ্তরিক কাজে নানা তথ্য দিতে এবং উপজেলা পর্যায়ে সভায় যোগ দিতে ছোটাছুটি করতে হয়। অথচ, অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য সরকারীভাবে তাদের কোনো পারিশ্রমিক দেয়া হয় না।
আবার যেসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে, সেসব বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, অতিরিক্ত পাঠদানের চাপ সামলানোর পাশাপাশি পরীক্ষার খাতা দেখাসহ নানা কাজে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা ২/৩ জন।
এসব বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অফিসের কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিস অথবা জেলা শিক্ষা অফিসে কিংবা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে গেলে ১/২ জন শিক্ষক নিয়ে বিদ্যালয় চলে। এতে শিক্ষার কার্যক্রম দারুনভাবে ব্যহত হয়। জুড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, এ উপজেলায় ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ২৩টি। পুরো উপজেলায় সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে ৫৭টি। এসব পদ শূণ্য থাকায় ওইসব বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। . . . . . . . . .