কিংস কাপের শুরুতেই গোলশূন্য ড্র করেছে বার্সা

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০১৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ণপ্রতিপক্ষটা ছিল স্পেনের তৃতীয় সারির একটা দল, ভিয়ানোভেন্স। তাই মূল দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কেই বিশ্রামে রেখেছিলেন বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিক। আর মাঠে নামিয়েছিলেন তরুণ খেলোয়াড়দের। তবে তরুণ দলটি হতাশা উপহার দিয়েছেন ট্রেবলজয়ী কোচকে। বুধবার রাতে কিংস কাপ নামে পরিচিত কোপা ডেল রের চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম লেগে ভিয়ানোভেন্সের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে বার্সা।
চোটের কারণে আগে থেকেই মাঠের বাইরে রয়েছেন বার্সেলোনার সেরা তারকা লিওনেল মেসি। আক্রমণভাগের অন্য দুই তারকা নেইমার ও লুইস সুয়ারেজসহ ইভান রাকিটিচ, ইনিয়েস্তা, দানি আলভেজ, পিকেদের বিশ্রামে রেখেছিলেন বার্সা কোচ। আর মেসি, নেইমার ও সুয়ারেজের অনুপস্থিতিতে ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়ই ভিয়ানোভেন্সের রক্ষণে ধুঁকতে দেখা গেছে বার্সেলোনাকে।
মুনির-রামিরেসরা মাঝে মধ্যে কয়েকটা সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন। কোপা ডেল রের শিরোপা ধরে রাখার মিশনের শুরুটা তাই বড্ড বাজে হলো বার্সেলোনার। অবশ্য আগামী ২ ডিসেম্বর ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুয়ে ফিরতি লেগ জিতে শেষ ষোলোয় ওঠার সুযোগ থাকছে এনরিকের দলের।
ভিয়ানোভেন্সের মাঠে ম্যাচের ২০ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। কিন্তু মিডফিল্ডার জেরার্ড স্বাগতিক গোলরক্ষককে কাটিয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারায় বার্সা।
এরপর ৩১ মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ পায় বার্সা। ডি বক্সের মধ্যে মার্ক বারত্রার শট স্বাগতিকদের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরলেও বল পেয়ে যান মুনির। তবে এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে চলে যায়।
অন্যদিকে শুরু থেকেই গোছানো ফুটবল খেলে স্বাগতিক ভিয়ানোভেন্স। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বার্সার রক্ষণে ভালোই চাপ সৃষ্টি করে তারা। দুই মিনিটের ব্যবধানে দারুণ দুটি আক্রমণও করে, কিন্তু সাফল্যের দেখা মেলেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের নেশায় আরো মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু ভালো আক্রমণের অভাবে শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
বেশি সুযোগ তৈরি না করতে পারার কারণেই এমন হতাশাজনক ড্র মেতে নিতে হয়েছে বলে মনে করছেন বার্সা কোচ এনরিক। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বার্সা কোচ বলেন, ‘ম্যাচে আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল, কিন্তু আমরা শুধুই লড়াই করে গেছি। আমরা যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করতে পারিনি।’ . . . . . . . . .