চীনে কনে সঙ্কট, তাই হয় ‘স্ত্রী ভাগ’ নইলে ‘সমকামী’ বিয়ে!

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০১৫, ১০:০৫ পূর্বাহ্ণমহাভারতে দ্রৌপদী তার শাশুড়ি কুন্তীর নির্দেশে পঞ্চস্বামী নিয়ে ঘর করেছেন। তার দেখানো পথ ধরেই সমাধান খুঁজেছেন চীনের অর্থনীতিবিদেরা। তাদের মতে, চীনে স্ত্রীকে একাধিক পুরুষের ভাগ করে নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকছে না। কারণ ২০২০ সালেই চীনে অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৩ কোটি!
অর্থনীতির শিক্ষক জাই জুওশির এমন পরামর্শ ইতোমধ্যে ‘ভাইরাল’ হয়ে ছড়িয়েছে চীনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে। অবশ্য আরো একটা পথ বাতলে দিয়েছেন জেজিং ইউনিভার্সিটির এই অর্থনীতির শিক্ষক। নিজের ব্লগে দুই পুরুষের মধ্যে সমকামী বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন জাই। বিতর্ক হতে পারে ভেবে পরে অবশ্য নিজের ব্লগ থেকে এই লেখাটি তিনি মুছে দেন।
অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই তিনি এই প্রস্তাব দিয়েছেন বলেই দাবি করেছেন জাই জুওশি।
জনসংখ্যার হার কমাতে ১৯৭৯ সাল থেকেই চিনে জন্মনিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেওয়া হয়। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই এক সন্তান। এই এক সন্তানের নীতিতে বহুক্ষেত্রেই পরিবার ছেলের দিকে ঝুঁকেছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে বেআইনিভাবে আগে ‘লিঙ্গ’ জেনেই সন্তান জন্ম দিচ্ছেন চীনা দম্পতিরা। ফলে ছেলের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। সেই তুলনায় কন্যাসন্তান নগণ্য। যার ফল, এখন মর্মে মর্মে টের পাচ্ছেন চীনারা। জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে নারী-পুরুষের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে।
. . . . . . . . .