স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য আজগুবি, মন্তব্য বিএনপির

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০১৫, ৬:৩৭ অপরাহ্ণইতালির নাগরিক সিজার তাভেলাসহ দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে বিএনপির ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম কমিশনার জড়িত বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে দাবি করেছেন তাকে ‘আজগুবি’ বলে মন্তব্য করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বক্তব্য রাখেন।
আসাদুজ্জামান রিপন অভিযোগ করেন, সরকার বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে এ দলের কোনো নেতা-কর্মীর এসব ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
বিএনপির মুখপাত্র আরো বলেন, এ দল শুধু গণতান্ত্রিক পন্থায় প্রতিবাদ করে থাকে। কোনো চোরাগলি বা ষড়যন্ত্রের পথ দিয়ে ক্ষমতার যাওয়ার নীতিকে বিএনপি ঘৃণা করে। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দলটি রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে চায়।
বিদেশি নাগরিক হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে আসাদুজ্জামান রিপন সরকারকে এ নিয়ে ‘দোষারোপের রাজনীতি’ না করার আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাবেলা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যে চারজনকে আটক করা হয়েছে, তারা কেউই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।
ড. রিপন বলেন, সম্প্রতি দুই বিদেশির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কিছু পত্র-পত্রিকায় বিএনপির কয়েকন নেতাকে জড়িয়ে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক বিএনপি নেতা আবদুল কাইয়ুমকে ‘হুকুমদাতা বড়ভাই’ উল্লেখ করায় বিএনপি আগে জানানো আশঙ্কাই প্রমাণিত হলো যে, সরকার বিদেশি খুনে বিএনপির কোন কোন নেতার নাম জড়িয়ে দলটিকে হয়রানি করবে।
তিনি বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবেই তার রাজনীতি পরিচালনা করে। এ দল হত্যা-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। অথচ বিএনপির কোন কোন নেতার নাম জড়িয়ে সরকারের তরফ থেকে যেসব আজগুবি, কাল্পনিক ও অসত্য অভিযোগ করা হচ্ছে— তাতে সত্যের লেশমাত্রও নেই। আমরা সরকারের এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করি।
সরকারের প্রতি ‘ব্লেম গেম’ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন, বিরোধী দল ও তার নেতৃত্বকে সন্ত্রাসী সাজানোর অপচেষ্টা অপরাজনীতির বিষবৃক্ষকেই শুধু শক্তিমান করবে, তাতে সরকার সাময়িকভাবে লাভবান হতে পারে বটে, কিন্তু এ দেশের মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অর্জন তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বিদেশে, নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্নে দেশে বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়বে। এ পরিস্থিতি কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধির স্বার্থে দলমত-ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার প্রত্যাশা জানিয়ে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘সংকীর্ণ দলবাজি এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার নীলনকশা থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’ . . . . . . . . .