বাংলাদেশে আইএস : ‘নিশ্চিত নয়’ যুক্তরাষ্ট্র

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ অক্টোবর ২০১৫, ৬:১৮ অপরাহ্ণমার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কারবি সম্প্রতি দুই বিদেশি হত্যায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ‘ঘনিষ্টভাবে কাজ করছে’ জানিয়ে বলেন বাংলাদেশে আইএসের কোনো কর্মকাণ্ড আছে কি না সে বিষয়ে তারা এখনও নিশ্চিত না ।
তবে বিষয়টি ‘খতিয়ে দেখা গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আইএস বাংলাদেশে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে কি না- তা বলা কঠিন। এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলার মত অবস্থানে আমি নেই।
“তবে এখন একটি তদন্ত চলছে, আমরাও চাই.. যদি কোনো সহায়তার প্রয়োজন হয়, আমরা তা করতে চাই।”
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লা ও ৩ অক্টোবর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে একই কায়দায় গুলি করে হত্যা করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের উগ্র গোষ্ঠী আইএস দুই ঘটনারই দায় স্বীকার করেছে বলে খবর দেয় ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’ নামের একটি জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা।
এরপর গত ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার হোসাইনী দালানে আশুরার তাজিয়া মিছিলে প্রস্তুতির সময় বোমা হামলার দায়ও আইএস স্বীকার করেছে বলে ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’ দাবি করে।
বাংলাদেশ সরকার বলে আসছে, এসব ঘটনার সঙ্গে আইএস এর সংশ্লিষ্টতা বা দায় স্বীকারের দাবির কোনো ভিত্তি গোয়েন্দারা খুঁজে পাননি। এসব ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, সরকারকে চাপে ফেলতে পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে আইএসবিরোধী যুদ্ধে নেতৃত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলা ও হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্কতা জারি করেছে দেশটির দূতাবাস।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই’ তাদের এই সতর্কতা। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, হুমকির বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দিতে পারেনি।
ওয়াশিংটনে সোমবারের ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র জন কারবি বলেন, “কারা দায়ী তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব বাংলদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে আমি মনে করি, আইএস এর দায় স্বীকারের দাবির বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিৎ; আর আমরা তাই করছি।”
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টির তদন্ত করে নিজেরাই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাক।
“দোষীদের খুঁজে বের করতে এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশ সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীদের সঙ্গে আমরা ঘনিষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছি,” বলেন তিনি। . . . . . . . . .