গোলাপগঞ্জে রেস্টুরেন্ট ভাংচুর, লুটপাট : মামলা না নেয়ার অভিযোগ

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০১৫, ১১:০০ অপরাহ্ণসিলেটের গোলাপগঞ্জে একটি রেস্টেুরেন্টে হামলা চালিয়ে মালামাল ও মূল্যবান কাগজপত্র লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানা পুলিশকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিলেও তারা তা গ্রহণ করেনি। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ২০/৩০ জনের এক দল দুর্বৃত্ত গোলাপগঞ্জ চৌমুহনী এলাকার আমিন এন্ড সন্স কমপ্লেক্সের ১ম ও ২য় তলার মামুন রেস্টুরেন্ট এন্ড সুইট মিটে হামলা চালিয়ে মালামালসহ মূল্যবান কাগজপত্র লুট করে। এসময় তারা রেস্টুরেন্টের পুরোনো সাইনবোর্ড সরিয়ে নতুন করে একটি ব্যানার লাগিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে রেস্টুরেন্টের স্বত্তাধিকারী হুমাইনুর রশীদ মামুন আসার পর তারা চলে যায়। ঘটনাটি তাৎক্ষনিকভাবে তিনি আশপাশের ব্যবসায়ীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করেন। পরে তাদের পরামর্শে গোলাপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহন করেনি।
পুুলিশ সুপার বরাবার দেয়া অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বানীগ্রামের মো. হুমাইনুর রশীদ মামুন ২০০৯ সাল থেকে চৌমুহনীর দ্বিতীয় তলার একটি ভবন আমিনুজ্জামান চৌধুরীর কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে রেস্টুন্টে ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবসায়ীক চুক্তিপত্র অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ভবনের মালিক ভাড়াটিয়া মামুনের নতুন করে অগ্রিম আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় তিনি উল্লেখিত পরিমাণ টাকা নিয়ে অন্য কাউকে ভাড়া দেয়ার কথা বলেন।
কিন্তু চুক্তিপত্র অনুযায়ী মামুন পূর্বেই মোটা অংকের অগ্রিম টাকা দিয়েছেন এবং নতুন করে আর কোন টাকা দিতে পারবেন না বলে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমিনুজ্জামান তাকে গত ৫ আগস্ট ভবন ছেড়ে দেয়ার জন্য একটি নোটিশ দেন। চুক্তিপত্র অনুযায়ী নোটিশ প্রদানের ৩ মাস পর্যন্ত ভাড়াটিয়া অবস্থান করার কথা থাকলেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ২২ অক্টোবর আমিনুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত রেস্টুরেন্টে গিয়ে সাইনোবর্ড খুলে নিয়ে ভাংচুর করে। সেইসাথে রেস্টুরেন্টে রক্ষিত কিছু মালামাল ও কাগজপত্র লুটে নেয়। গত ২৪ অক্টোবর এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।
পরবর্তী সময়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুল হক শিবলীর কাছে গিয়ে ঘটনার বর্ণনা করলে তিনি মীমাংসার কথা বলে কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে রবিবার সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে হোটেলের স্বত্তাধিকারী উপজেলার বানীগ্রামের মো. হুমাইনুর রশীদ মামুন একই উপজেলার রণকেলী ঘোগারকুল গ্রামের আমিনুজ্জামান চৌধূরী, মো. মুঞ্জেরীন চৌধূরী,মুর্শেদ আলম দীপলু, বাবলু, নিমার ও জব্বারকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার বিষয়টি আমলে নিয়ে একজন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
. . . . . . . . .