৩১ অক্টোবর কী হবে মহাকাশে!

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০১৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ণতারপরও আগ্রহের শেষ নেই। পুরনো কথা, পুরনো সমালোচনা, পুরনো সেই গবেষণা। গ্রহাণুর আঘাতে ধ্বংস হবে পৃথিবী। এটি আগের সেই গবেষণার মতো গুজব ছাড়া আর নতুন কিছুই নয়। কিন্তু এরপরও মাঝে মধ্যে গুজবের পালে হাওয়া লাগে। সেই হাওয়ায় গা ভাসায় কিছু কৌতূহলী মানুষ।
হরহামেশাই শোনা যায় অমুক তারিখে ধ্বংস হবে পৃথিবী। অমুক দিন পৃথিবীর জন্য অশনি সংকেত। সত্যিকার অর্থে এমন কিছু না ঘটলেও, এমন কিছুর সত্যতা এবং বাস্তবতা না মিললেও এসব দিন নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ থাকে না। অনেকের ধারণা পৃথিবী এভাবেই একদিন ধ্বংস হবে। কিন্তু এর কিছুই হয় না। প্রতিদিনের মতো পৃথিবী তার নিজ কক্ষ পথে ঘুরপাক খায়। কিন্তু এবার গুজবের পালের হাওয়াটা একটু বেশিই। কারণ গুজব জোর দিয়ে বলছে, ৩১ অক্টোবর বৃহৎ আকারের গ্রহাণু পৃথিবীকে পাশ কাটিয়ে যাবে। আর এটি যদি পৃথিবীর ওপর আছড়ে পরে তবে লণ্ডভণ্ড হবে মানুষের বাসযোগ্য পৃথিবী।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য ভার্জ জানিয়েছে, মহাকাশে ৩১ অক্টোবর আছড়ে পড়বে বিশাল আকারের গ্রহাণু। এটি পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে। এই গ্রহাণুটির নাম ‘২০১৫ টিবি ১৪৫’। এটি পৃথিবীর ৩ লাখ মাইল দূর দিয়ে যাবে। তবে ভয়ের কারণ নেই। পৃথিবীর টিকিটিও ছুঁতে পারবে না এই গ্রহাণু।
নাসার বিজ্ঞানীরা সপ্তাহ খানেক আগে এ গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন। তারা আরো জানিয়েছেন, এ গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে গেলেও পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে ভয়ের কারণটা হলো, এ গ্রহাণুর আয়তন নিয়ে। এটি আকারে সুবিশাল। উচ্চতায় এটি ৯৫০ ফুট থেকে ২১০০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এটির আয়তন হতে পারে ক্রিসলার বিল্ডিং কিংবা সাংহাই টাওয়ারের সমান। এটি আছড়ে পড়ার সময় এটির সঙ্গে আরো অনেক উপাদান যোগ হবে। ফলে আয়তনটা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। নাসার বিজ্ঞানী ডেভিড ফার্নোচিচিয়া পৃথিবীর বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘গ্রহাণু ২০১৫ টিবি১৪৫’ পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’
নাসা ইতিমধ্যে ৮ হাজার গ্রহাণুর তালিকা তৈরি করেছে। যেগুলোর আকৃতি খানিকটা বড়। এসব গ্রহাণু পৃথিবীর আশপাশ দিয়ে ঘুরঘুর করছে। কোনো কোনোটা আবার পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে পতিত হয়ে মহাশূন্যে মিলিয়ে যাচ্ছে।
. . . . . . . . .