‘আমার মৃত্যুর জন্য সেবাশীষ তুমি দায়ী’

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ অক্টোবর ২০১৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ“আমার মৃত্যুর জন্য সেবাশীষ তুমি দায়ী” মোবাইলে এইরকম একটি মেসেজ দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় আত্মহত্যা করেছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিন মাসের গর্ভবর্তী ইতি রানী সাহা (১৯)। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
তবে এই ঘটনার পর থেকে প্রেমিক সেবাশীষ সাহা পলাতক রয়েছে।
ইতিরানী সুন্দরগঞ্জ পৌর এলাকার মীরগঞ্জহাটের সাধন চন্দ্র সাহার মেয়ে এবং সুন্দরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। এছাড়া তিনি ভাল সঙ্গীত শিল্পি ছিলেন বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ ইতি রানীর লাশসহ তার ব্যবহৃত মোবাইলটি উদ্ধার করে আজ সন্ধ্যায় থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। তারা ইতি রানীর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাহ করার পায়তারা চালাচ্ছে বলেও জানা গেছে।
তবে ঘটনাটি ধামাচাঁপা দিতে মোটা অংকের টাকা লেনদেনেরও চেষ্টা চলছে। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করারও অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানায়, কলেজ ছাত্রী ইতি রানীর সাথে একই গ্রামের সমর সাহার ছেলে সেবাশীষ সাহার সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সেবাশীষ সাহা ইতি রানীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে ৩ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য সেবাশীষকে চাপ দেয় ইতি রানী। ইতোমধ্যে সেবাশীষ সাহার আনসার ভিডিপিতে চাকরি হয়। সেবাশীষ চাকরি পাওয়ার পর থেকে ইতিরানী রানীকে এড়িয়ে চলে এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এছাড়া ইতির গর্ভের সন্তানের দায় দায়িত্ব নিতে সেবাশীষ অপারগতা প্রকাশ করে। প্রতারিত হওয়ায় নিজের মোবাইল থেকে সেবাশীষের মোবাইলে পাঠানো “সুসাইড ম্যাসেস” দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ইতিরানী।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসরাইল হোসেন বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইতিরানী তার মৃত্যুর কারণ প্রেম ঘটিত বলে একটি চিরকুটে লেখে গেছে। এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাবার পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
ইতিরানীর মোবাইলের ম্যাসেস সম্পর্কে তিনি বলেন, মোবাইলটি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ছবি:প্রতীকী
. . . . . . . . .