আত্মগোপনে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০১৫, ১০:১৩ অপরাহ্ণনিউজ ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য এবং দলের একজন প্রভাবশালী আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। বিএনপির ক্রান্তিকালে যিনি দলের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছেন। বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামেও তার পরামর্শকে দেখা হয় গুরুত্ব সহকারে। কিন্তু গত ৫ জানুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলনের আগে থেকেই সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে নিয়ে যান তিনি।
তবে রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা এবং ওই মামলাগুলোতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কারণে তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে বিএনপির একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, রফিকুল ইসলাম মিয়া গ্রেপ্তারের ভয়েই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ্রগহণ করছেন না। কারণ, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে যা বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্য কোনো সদস্যদের কারো নামেই নেই। আর তাই রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।
এ বিষয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে রফিকুল ইসলাম মিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী মখলেছুর রহমান আবির বলেন, ‘স্যারের বিরুদ্ধে (রফিকুল ইসলাম মিয়া) গত ৫ জানুয়ারি পর থেকে মোট ৪২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার প্রায় প্রতিটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এ কারণে স্যার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডতে অংশগ্রহণ করছেন না এবং গণমাধ্যমের সামনেও আসছেন না।’
এদিকে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির থেকে চলতি বছরের ১২ মার্চ পর্যন্ত দলের কিছু কিছু রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে রফিকুল ইসলাম মিয়াকে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তিনি। সর্বশেষ গত ১২ মার্চ একটি আলোচনা সভায় তিনি অংশগ্রহণ করেন। এরপর আর কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাকে দেখা যায়নি। এমনকি তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটিও ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ আছে।
তবে রফিকুল ইসলাম মিয়া বর্তমান ঢাকাতেই অবস্থান করছেন- এ তথ্য নিশ্চিত করে আবির জানিয়েছেন, স্যার এখন ঢাকাতেই আছেন। কিন্তু সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না স্যার ঢাকার কোন জায়গায় আছেন।
অপরদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে থাকার কারণে রফিকুল ইসলাম মিয়ার ওপর বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনক্ষুণ্ণ হয়ে আছেন। আর এটা দলের পুনর্গঠনের সময় তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবির বলেন, ‘স্যার (রফিকুল ইসলাম মিয়া) তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। আর স্যারের ভাষ্য, এতে কোনো সমস্যা হবে না।’
আবির জানান, খুব শিগগিরই রফিকুল ইসলাম মিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হবেন। আর এ জন্য সব আইনী প্রক্রিয়া চলছে।
কবে নাগাদ রফিকুল ইসলাম মিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আবির বলেন, ‘নিশ্চিত করে দিন-তারিখ বলা সম্ভব নয়। তবে আগামী সপ্তাহের জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। এক্ষেত্রে স্যার (রফিকুল ইসলাম মিয়া) সুবিধা অনুযায়ী আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যাবেন।’
. . . . . . . . .