নেইমার-রাকিতিচের নৈপুণ্যে বার্সার সহজ জয়

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০১৫, ৯:২৭ পূর্বাহ্ণনেইমার আর ইভান রাকিতিচের নৈপুণ্যে বাতে বরিসভের মাঠ থেকে সহজ জয় নিয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘ই’ গ্রুপে শীর্ষেই থাকল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বার্সেলোনার দুটি গোলই আসে ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার রাকিতিচের পা থেকে। দুটো গোলেই অবদান রাখেন ম্যাচজুড়ে আলো ছড়ানো নেইমার।
মঙ্গলবার রাতে দলের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি আর মধ্যমাঠের কারিগর ইনিয়েস্তাকে ছাড়া খেলতে নামলেও শুরু থেকেই দুর্বল প্রতিপক্ষের অর্ধে আক্রমণ চালিয়ে যায় বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে বলের দখলে অনেক এগিয়ে থাকলেও সে তুলনায় গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ষষ্ঠ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে অধিনায়ক সের্হিও বুসকেতসের শট লক্ষ্যে থাকেনি। একাদশ মিনিটে পাওয়া সুযোগটা ছিল আরও ভালো; তবে নেইমারের কর্নার থেকে মুনির এল হাদ্দাদির জোরালো শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক।
৩০তম মিনিট জটলার মধ্যে বুসকেতস বল জালে জড়ানোর সুযোগ হারান। ১০ মিনিট পর দানি আলভেসের ক্রস থেকে রাকিতিচের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
বিরতির আগে বল নিয়ে দৌড়ে গিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন নেইমার; তবে তা লক্ষ্যে থাকেনি।
বিরতির পর অবশ্য গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি লুইস এনরিকের দলকে। ৪৮তম মিনিটে নেইমারের পাস থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোরালো শটে ওপরের ডান কোনা দিয়ে জালে জড়ান রাকিতিচ। এ মৌসুমে দলের হয়ে এটা তার প্রথম গোল।
৬৪তম মিনিটে আবারও নেইমার জাদু। বল নিয়ে এগিয়ে ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড ডিফেন্স-চেরা পাস পাঠান রাকিতিচকে। শুয়ে পড়ে ঠেকানোর চেষ্টা করা গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার।
৮৫তম মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ম্যাচে কিছুটা অনুজ্জ্বল লুইস সুয়ারেস। কিন্তু সতীর্থ কোনো খেলোয়াড়কে বল যোগাতে পারেননি উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের শেষের দিকে সুয়ারেস ডি-বক্সে বল জুগিয়েছিলেন নেইমারকে; তবে বল বুক দিয়ে নামিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট ভলি করেন ব্রাজিল তারকা।
ম্যাচে গোল করার একটি ভালো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকরা। তবে বার্সেলোনাকে কম গোলে আটকে রাখতে পেরে কিছুটা সান্ত্বনা পেতে পারে বেলারুশের চ্যাম্পিয়নরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার বছর আগের দেখায় দুই লেগে ৫-০ ও ৪-০ গোলে হেরেছিল তারা।
অন্যদিকে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে না পারলেও টানা ১২ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে ওঠার অভিযানে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। রোমার বিপক্ষে ড্র দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করা দলটি আগের ম্যাচে বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে স্বস্তির জয়টা পেয়েছিল।
বরিসভকে হারানোয় তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বার্সেলোনার শীর্ষে অবস্থান মজবুত হলো। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বরিসভ।
রোমা ও বেয়ার লেভারকুজেনের মধ্যে গ্রুপের অন্য ম্যাচটি ৪-৪ গোলের নাটকীয় ড্রয়ে শেষ হয়েছে।
প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যে লেভারকুজেন দুই গোলে এগিয়ে গেলেও দারুণভাবে ম্যাচে ফেরা ইতালির ক্লাব রোমা এক সময় ৪-২ গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু শেষ দিকে দুই মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে এক পয়েন্ট নিশ্চিত করে জার্মানির দলটি।
এই ড্রয়ে তিন ম্যাচে লেভারকুজেনের পয়েন্ট হলো ৪, দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। আর চতুর্থ স্থানে থাকা রোমার পয়েন্ট ২।
. . . . . . . . .