রাজনের শরীরে ৬৪টি জখম ছিল : তাহমিনা ইসলাম

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ অক্টোবর ২০১৫, ৪:৩১ অপরাহ্ণশিশু শেখ সামিউল আলম রাজনের শরীরে ৬৪টি জখম ছিল। নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক তাহমিনা ইসলাম বুধবার মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন। তিনি ছাড়াও মামলার আট আসামির জবানবন্দি রেকর্ডকারী দুই বিচারিক হাকিম ও এক পুলিশসদস্য সাক্ষ্য দেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জন আসামির মধ্যে আটজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ড করার বিষয়টি আদালতকে জানান সিলেট মহানগর হাকিম (আদালত-১) শাহেদুল করিম ও মহানগর হাকিম (আদালত-৩) মো. আনোয়ারুল হক। তাঁরা যে আটজন আসামির জবানবন্দি নিয়েছেন, আদালতে তাঁদের নাম উল্লেখ করেন।
রাজনের (১৪) লাশের ময়নাতদন্ত করেন চিকিৎসক তাহমিনা ইসলাম। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি আদালতকে বলেন, রাজনের শরীরে ৬৪টি জখম পাওয়া গেছে। নির্যাতনের কারণে এসব জখম হয়। এতে শিশুটির মৃত্যু হয়।
অপর সাক্ষী জালালাবাদ থানার কনস্টেবল ফয়সল আহমদ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত আদালতকে অবহিত করেন।
রাজনের পরিবারের পক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম বলেন, এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত এ মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার, জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেনের সাক্ষ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে নয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁও বাসস্টেশনে জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের সবজিবিক্রেতা রাজনকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করলে পরে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে ১০ জন কারাবন্দী ও তিনজন পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যে ঘটনার মূল হোতা পালিয়ে সৌদি আরব গিয়ে ধরা পড়া কামরুল ইসলামকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের একটি দল সে দেশে গেছে। কামরুলকে আজ দেশে ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে।
. . . . . . . . .