অবশেষে আজ ফিরছে সেই কামরুল
সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ অক্টোবর ২০১৫, ৯:৫০ পূর্বাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক::
রাজন হত্যার ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে প্রকাশের পর সারাদেশজুড়ে কত তোলপাড়, কত প্রতিবাদ, অথচ তার আগেই চুপিসারে পালিয়ে যায় এই হত্যাকান্ডের মূল হোতা কামরুল ইসলাম। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, এই কামরুলই সবচেয় হিংস্র নির্যাতন চালিয়েছে রাজনের উপর।
রাজন হত্যার বিচার নিয়ে যখন সরকারের উচ্চপর্যায় নড়েচড়ে বসেছে, তখন প্রশ্ন- কামরুলকে ফেরানো যাবে তো? এই ফাঁকে প্রবাসীদের সহযোগিতায় সৌদি পুলিশ আটক করে কামরুল ইসলামকে। তবু সংশয় দূর হয় না। ‘অচীরেই ফিরবে কামরুল’ মন্ত্রীদের এমন আশ্বাস সংশয় আরো বাড়িয়ে তুলে। মন্ত্রীদের ‘অচীরেই’ অচীরেই আসে না তা তো জানা সকলেরই। তারউপর নারায়নগঞ্জের সাত খুনের মূল আসামী নুর হোসেনকেও ফেরানো অদ্যাবদি।
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনা আর সংশয় দূর করে আজ ফিরছে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামী কামরুল ইসলাম।
ইন্টারপোলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আজ (বৃহস্পতিবার) কামরুলকে নিয়ে দেশে ফিরছে পুলিশের তিন সদস্যের দল। কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গত ১২ অক্টোবর সৌদি আরব গিয়েছিলেন তারা।
বাংলাদেশ পুলিশের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ‘শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে নিয়ে তিন পুলিশ কর্মকর্তা সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৪০বি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবেন।’
তিন সদস্যের ওই টিমে রয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ ও বিমানবন্দর থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন। এর আগে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ইন্টারপোলের নিয়ম অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অপরাধী বিনিময়ের বিধান রয়েছে। তবে, আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষ করার আনুষ্ঠানিকতার কারণেই কামরুলকে হস্তান্তরে দেরি হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে ভ্যান চুরির অভিযোগে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে গত ১৩ জুলাই আটক হন কামরুল।
কামরুল ছাড়াও রাজন হত্যা মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মুহিদ আলম, আলী হায়দার, শামীম আহমদ, পাভেল আহমদ, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
রাজনকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ও গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে সরব হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। এর মধ্যে মুহিদের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুলের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি সৌদি পালিয়ে যান। কিন্তু ১৩ জুলাই সৌদি প্রবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
. . . . . . . . .