‘সফর স্থগিত করে হারের লজ্জা এড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া’

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০১৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ণসমালোচনা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ সফর অনিশ্চয়তার পর থেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেগুলোতে অনেকেই রসিকতা করেছিলেন এভাবে—অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না, কারণ তারা ভয় পাচ্ছে মুশফিক-বাহিনীকে।
চিন্তাশীল ক্রিকেটপ্রেমীরা একে সমর্থকদের বাঁধভাঙা আবেগের বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছিলেন।
অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করে এমনটিও বলেছিলেন, ‘বলে কী! অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে ভয় পাচ্ছে! ছেলেমানুষিরও একটা সীমা আছে!’
কিন্তু সেই ‘আবেগী’ সমর্থকদের কথারই যে প্রতিধ্বনি তুলেছেন সাবেক অস্ট্রেলীয় গ্রেট ডিন জোনস।
শুক্রবার সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে লেখা এক কলামে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে না এসে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল রীতিমতো হারের লজ্জা এড়িয়েছে।’
তিনি তার কলামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক ফর্মের প্রসঙ্গেই এ কথা বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ সফরে গেলেই অস্ট্রেলিয়াকে হারতে হতো। বাংলাদেশ সম্প্রতি সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছে। উপমহাদেশে অস্ট্রেলীয় দলের পারফরম্যান্সের ইতিহাস বিবেচনা করেই আমি মনে করি অনভিজ্ঞ দল নিয়ে বাংলাদেশে গেলে বিব্রতই হতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে।’
তিনি বলেন, ‘ঘোষিত অস্ট্রেলীয় দলটির মিডল অর্ডারে সমস্যা আছে। টপ অর্ডারে ডেভিড ওয়ার্নার আর ক্রিস রজার্সের থাকার কথা ছিল না। স্টিভেন স্মিথই মিডল অর্ডারে একমাত্র নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়। শন মার্শের উপমহাদেশে টেস্ট সেঞ্চুরি থাকলেও সে যথেষ্ট অধারাবাহিক। বাংলাদেশের উইকেটে এই দল অবশ্যই বিপদে পড়ত।’
বোলিং লাইন আপে মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন বাংলাদেশে কী করতেন সেটা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে জোনসের, ‘স্টার্কের গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। উপমহাদেশে লায়নের বোলিং গড় ৫০-এর কাছাকাছি। অ্যান্ড্রু ফেকেটের সামর্থ্য পরীক্ষিত নয়। আর স্টেফান ও’কিফ ও অ্যাস্টন অ্যাগার তো দলেই থিতু নয়।’
. . . . . . . . .