ইমতিয়াজ-রুমানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিলেট

সিলেটের কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০১৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণশুরুটা ছিল হতাশার। রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ৮২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল সিলেট বিভাগ। তবে ইমতিয়াজ হোসেনের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি আর রুমান আহমেদের ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অলক কাপালির দল।
ওয়ালটন ১৭তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচে শনিবার প্রথম দিনের খেলা শেষে সিলেটের সংগ্রহ ওই ৪ উইকেটেই ২৩৬ রান। ১২৫ রানে অপরাজিত আছেন ইমতিয়াজ। রুমানও সেঞ্চুরির অপেক্ষায় রয়েছেন, তিনি অপরাজিত আছেন ৮১ রানে। পঞ্চম উইকেটে এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ১৫৪ রান।
শনিবার বগুড়ার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি সিলেটের। দলীয় ২ রানেই ফিরে যান ওপেনার শাহনাজ আহমেদ (১)। মনির হোসেনের বলে নাজমুল হোসেনকে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ইমতিয়াজ হোসেন ও জাকির হাসান মিলে প্রতিরোধ গড়লেও তাদের ৪৬ রানের জুটি ভাঙেন ফরহাদ রেজা। জাকিরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। জাকিরের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। জাকিরের বিদায়ের পর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন রাজিন সালেহ (৩)।
লাঞ্চ বিরতির আগে পর্যন্ত সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬৮ রান। ইমতিয়াজ হোসেন ৪১ ও অধিনায়ক অলক কাপালি ১ রানে অপরাজিত ছিলেন। লাঞ্চের পর পরই ফরহাদ হোসেনের করা ২৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে টানা দুই বাউন্ডারিতে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ইমতিয়াজ। কিন্তু অধিনায়ক অলক কাপালি ব্যক্তিগত ৩ রানে সানজামুল ইসলামের বলে ফরহাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ৮২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট।
৮২ রানেই ৪ উইকেট হারানোর পর রুমান আহমেদকে নিয়ে দলের হাল ধরেন এক প্রান্ত আগলে রাখা ইমতিয়াজ। দলের প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেওয়ার পাশাপাশি টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩০ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান।
সামজামুল ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৯৯-এ পৌঁছার পর ফরহাদ হোসেনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ইমতিয়াজ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এটা তার সপ্তম সেঞ্চুরি। এবারের জাতীয় লিগে দ্বিতীয় রাউন্ডে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি (১২৭) করেছিলেন তিনি। . . . . . . . . .